Kafeel Khan

মুখ পুড়ল যোগীর, এনএসএ নয় কাফিলের নামে, রায় সুপ্রিম কোর্টের

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পরেই কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বলা হয়েছিল, বক্তৃতাটি শান্তি বিঘ্নিত করছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:০৬
Share:

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পরেই কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বলা হয়েছিল, বক্তৃতাটি শান্তি বিঘ্নিত করছে। ফাইল চিত্র

ইলাহাবাদ হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল। এ বার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ধারায় মামলা করা যাবে না। সিএএ বিরোধী একটি ভাষণের জন্য কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্ট বা এনএসএ)-এর আওতায় মামলা করতে চেয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল যোগী সরকার। সেখানেই মুখ পুড়ল তাদের।

Advertisement

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এসএ বোবদে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘কোনও ফৌজদারি মামলার বিচার হয় সেই মামলার নিজস্ব গুরুত্ব অনুযায়ী। অন্য একটি মামলা করে কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক আটক আইন প্রয়োগ করা যায় না। এই মামলায় হাইকোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে। সেই রায় বহাল থাকুক। এর মধ্যে নাক গলানোর কোনও কারণ দেখি না।’’

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পরেই কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বলা হয়েছিল, বক্তৃতাটি শান্তি বিঘ্নিত করছে। তারপর জামিন পেলেও ফের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-তে কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল সরকার। এই আইনে কাউকে গ্রেফতার করে হেফাজতে রাখা যায় এক বছরের কাছাকাছি। গত অগস্টে তিন মাসের জন্য কাফিলের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকার।

Advertisement

সেপ্টেম্বরে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট কাফিলকে মুক্তি দেয়। বলা হয়, এ ভাবে কাফিলকে আটক করে রাখা ‘বেআইনি’। ‘বেআইনি’ শব্দটিই ব্যবহার করেছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ বার একই রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। এর ফলে যোগী সরকার তথা গেরুয়া বাহিনীর মুখ পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন:কাঁথিতে শুভেন্দুর সহায়তা কেন্দ্র পুনর্দখল তৃণমূলের, ছেঁড়া হল ছবি​

আরও পড়ুন: ধর্ম নির্বিশেষে একই হোক বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, সওয়াল সুপ্রিম কোর্টের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন