—প্রতীকী চিত্র।
মন্দিরে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী। প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর চারহাত এক করে বিয়ের রীতি মেনে বিদায় অনুষ্ঠানও করলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় অমেঠীর শিল্পাঞ্চল এলাকায় আদিত্য বিড়়লা মন্দিরে একটি বিয়ে হয়েছে। ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পাত্রীর স্বামীও। বস্তুত, তাঁর পৌরোহিত্যেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের সাতপাক থেকে মালাবদল, বিয়ের যাবতীয় উপচার পালিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিয়ের পরে কনের বাড়িতে যেমন মেয়েকে বিদায় জানানোর রীতি পালিত হয়, তেমনই স্ত্রীকে বিদায় দেন তাঁর প্রথম স্বামী। মন্দিরে উপস্থিত অন্যান্য দর্শনার্থী এবং ভক্ত এই বিয়ে দেখে বিস্মিত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ মার্চ বিয়ে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের কামরৌলি থানার বাসিন্দা শিবশঙ্কর এবং রানিগঞ্জের উমার। দাম্পত্যের বয়স ৬ মাসও হয়নি। তার মধ্যেই শুরু হয় কলহ। শিবশঙ্করের দাবি, বিয়ের পর থেকে বাপের বাড়ির লোকের সঙ্গে কম, বিশাল নামে এক যুবকের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন স্ত্রী। অনেক সময় রাত জেগে কথা বলতেন তাঁরা। জিজ্ঞাসা করায় স্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, বিশাল তাঁর প্রেমিক এবং তাঁকে ভুলতে পারবেন না।
শিবশঙ্করের অভিযোগ, প্রথমে তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন। ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু স্ত্রী তাঁর কথায় কান দেননি। ফোনে কথা তো হতই, প্রেমিকের সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করতেও যেতেন।এ জন্য বেশ কিছু দিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শেষমেশ তিনি সিদ্ধান্ত নেন, স্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে দেবেন এবং নিজে উপস্থিত থাকবেন সেখানে।
এর মধ্যে গত ২৯ মে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন উমা। আবার সে দিন বাপের বাড়ি থেকে প্রেমিকের কাছে চলে যান। শেষমেশ অগস্ট মাসে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। কিন্তু তাঁর ‘অভ্যাস’ বদলায়নি বলে দাবি স্বামীর। কয়েক দিন আগের কথা। রাত জেগে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন বলে স্ত্রীর সঙ্গে বিস্তর অশান্তি হয় শিবশঙ্করের। শেষমেশ তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, এ ভাবে চলতে পারে না। এতে পরিবারের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি উমাকে জানান, প্রেমিককে বিয়ে করতে। স্বামীর কথায় রাজি হয়ে যান ওই যুবতী।
এর পর রবিবার আত্মীয়-প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে উমা তাঁর প্রেমিক বিশালকে বিয়ে করেছেন। শিবশঙ্কর বিদায় দেন উমা