—প্রতীকী চিত্র।
প্রথমে স্ত্রীকে খুন। তার পর তাঁর দেহ খাটের তলার মেঝেতে পুঁতে দিয়েছিলেন স্বামী। দিনের পর দিন সেই খাটে তিনি ঘুমোলেনও!
উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের ঘটনা। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ফুলা দেবী (৪৫)। তিনি নরপতপুরা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, তাঁর স্বামী হরিকৃষ্ণই তাঁকে খুন করেছেন। খুনের পর তাঁর দেহ মেঝেতে পুঁতে দেওয়া হয়।
কয়েক দিন ধরেই ফুলার পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। গত ১৩ অক্টোবর তারা পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তার পর ফুলার ভাই নরপতপুরার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, হরিকৃষ্ণের শোওয়ার ঘরে খাটের নীচে মাটি পড়ে রয়েছে। তাতেই তাঁর সন্দেহ হয়। সে কথা তিনি পুলিশেও জানান। এর পর পুলিশ মেঝে খুঁড়ে ফুলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। প্রায় ছ’ফুট গভীরে তাঁকে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের এএসপি রামানন্দপ্রসাদ কুশওয়া জানান, মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।