Bizzare

UP man: রইল সংসার! স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য ঝগড়ায় তিতিবিরক্ত স্বামী ঘর বাঁধলেন ৮০ ফুট উঁচু তালগাছে

রামের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খিদে পেলে উপর থেকে দড়ি ঝুলিয়ে দেন রাম। তাতে খাবার বেঁধে দেওয়া হয়। রামের টানে দড়ি ওঠে তালগাছের উপরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ২০:২৯
Share:

তালগাছে স্বামী! প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য ঝগড়া। তিতিবিরক্ত স্বামী বাড়ি ছেড়ে ঘর বাঁধলেন গাছে। তা-ও যে সে গাছ নয়, ৮০ ফুট উঁচু তালগাছেই গত এক মাস ধরে রয়েছেন তিনি। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে নামাতে না পেরে ফিরে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাউ জেলার কোপাগঞ্জে।

Advertisement

কোপাগঞ্জের বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের রাম প্রবেশ। গত ছ’মাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য গোলমাল চলছে। রামের অভিযোগ, স্ত্রী তাঁকে মারধরও করেন। এক দিন সব সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। রাগের বশে বাড়িরই উঠোনের কোণে লম্বা তালগাছে চড়ে বসেন তিনি। সেই যে উঠলেন, আর নামার নাম নেই। তার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। রাম রয়ে গিয়েছেন গাছেই।

রামের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি লম্বা দড়ির ব্যবস্থা করা গিয়েছে। সময় বুঝে সেই দড়ি ঝুলিয়ে দেন রাম। খাবারদাবার বেঁধে দেওয়া হয়। আবার রামের টানে দড়ি ওঠে তালগাছের উপরে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন হলেই একমাত্র মাটিতে নামেন রাম।

Advertisement

এমন ঘটনার কথা শুনে এসেছিল পুলিশও। নীচে দাঁড়িয়ে নেমে আসার পুলিশি আবেদন, নিবেদনেও কাজ হয়নি। শেষে রামের গাছে বসে থাকার দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করে তারা ফিরে গিয়েছেন। পুলিশের পিছু পিছু অন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন অনেক মানুষও। তাঁরা দু’চোখ ভরে গাছে রামকে দেখেছেন, তার পর আবার ফিরেও গিয়েছেন।

কিন্তু এতে একটি অসুবিধাও হয়েছে। গ্রামেরই আর পাঁচটি পরিবার প্রধানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, গাছের টংয়ে বসে সব কিছুই দেখতে পান রাম। এতে আশেপাশের বাড়ির মহিলাদের সম্মানহানি হচ্ছে। তাই দ্রুত তাঁকে নামিয়ে আনা হোক। গ্রাম প্রধান দীপক কুমার বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তো এসে ভিডিয়ো তুলে ফিরে গেল। এখন আমাদের কী করার আছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন