ইভিএমের সুরক্ষায় উন্নত সফটওয়্যার

কমিশন ‘ইভিএম ট্র্যাকিং সফটওয়্যার’ প্রথম ব্যবহার করেছিল ২০১০ সালে। আট বছর পরে সেই সফটওয়্যারের আধুনিক সংস্করণ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

ইভিএম নিয়ে অভিযোগ বন্ধ করতে ‘সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএমের বণ্টন থেকে এর পর্যবেক্ষণ— সবই একটি উন্নত সফটওয়্যারের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। নতুন এই ব্যবস্থা ভোটমুখী পাঁচটি রাজ্যের একটি করে জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে।

Advertisement

কমিশন ‘ইভিএম ট্র্যাকিং সফটওয়্যার’ প্রথম ব্যবহার করেছিল ২০১০ সালে। আট বছর পরে সেই সফটওয়্যারের আধুনিক সংস্করণ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সফটওয়্যারটি আধুনিক করা হচ্ছে। এতে ভোটযন্ত্রের কার্যপ্রণালী আগের চেয়ে সরল হয়ে উঠবে।’’ কমিশন এ-ও জানিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় ইভিএমে কোনও খুঁত থাকলে তা সহজে বোঝা যাবে। কোন ইভিএম কোন কেন্দ্রে যাবে, তা ঠিক হবে সফটওয়্যারের ভিত্তিতে। কোনও কর্মীর ভূমিকা থাকবে না। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেউ কারচুপি করার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ইভিএম ‘লক’ হয়ে যাবে ওই সফটওয়ারের দৌলতে।

নতুন ব্যবস্থায় ভোট নেওয়া হবে তেলঙ্গনার মেহবুবনগর, ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ, মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌর, রাজস্থানের অজমের ও মিজোরামের আইজলে। পরীক্ষা সফল হলে ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার কথা ভেবেছে কমিশন।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জেতার পরেই ইভিএমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। নিরপেক্ষতার স্বার্থে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ব্যালটে করারও দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু কমিশন বরাবরই বলে এসেছে, পিছনে ফেরার প্রশ্ন নেই। কোনও ভাবেই ব্যালটে ভোট হবে না। বরং ইভিএম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে। সেই অনুযায়ীই প্রতিটি ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এতে প্রত্যেক ভোটার নিজে কাগজে দেখতে পারেন তাঁর ভোট কার পক্ষে পড়েছে। এবং পরেও তা যাচাই করা যায়। এ বার যোগ হচ্ছে নজরদারির উন্নত ব্যবস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement