সদ্যোজাত পুত্রের ডান হাতে একটিও আঙুল ছিল না। আর তা দেখেই সন্তানকে হাসপাতালে ফেলে চলে গিয়েছিলেন মা। শিশুর ঠাঁই হয়েছিল অনাথ আশ্রমে। নামকরণও হয়েছিল। ১৪ মাস পরে নতুন মা-বাবার কোলে যাচ্ছে ‘সুদীপ’। সব কথা জেনেই তাকে দত্তক নিতে রাজি হয়েছেন ভার্জিনিয়ার এক মার্কিন দম্পতি।
কথাবার্তা চূড়ান্ত। ১৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন মুলুক থেকে ম্যাকলে-দম্পতি আসছেন অসমের শিলচরে। এরই মধ্যে পাসপোর্টও তৈরি হয়ে গিয়েছে সুদীপের।
হাসপাতালে পরিত্যক্ত শিশুটিকে জেলা আদালতের শিশু কল্যাণ কমিটি পাঠায় নিবেদিতা নারী সংস্থার শিশুগৃহে। আঙুল নেই বলে সমস্যাই হয়নি তার বেড়ে ওঠাতে। ১৪ মাস বয়সে এখন সে হামাগুড়ি দিয়ে এ-ঘর ও-ঘর ঘুরে বেড়ায়। হাসিমাখা মুখ। ভাল করে কথা ফোটেনি। তবু সারাক্ষণ কী যে বলে চলে!
এই শিশুর খবর ভার্জিনিয়ায় কী করে পৌঁছল? সংস্থার সচিব দিবা রায় বলেন, ‘‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি (সিএআরএ)-র ওয়েবসাইটে সুদীপের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা সিএআরএ-ই যোগসূত্রের কাজটা করেছে।’’
সামান্য খুঁতের জন্য মায়ের হাসপাতালে ফেলে যাওয়ার কথায় ব্যথিত হন স্টিফেন জন ম্যাকলে ও এলিজাবেথ ম্যাকলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা সুদীপের বর্তমান ঠিকানা সংগ্রহ করেন। দফায় দফায় মেল চালাচালি হয়। শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষ দত্তকে রাজি হলে শুরু হয় আইনি প্রক্রিয়া।
এরই অঙ্গ হিসেবে আগামী১৫ ফেব্রুয়ারি সুদীপকে তুলে দেওয়া হবে ম্যাকলে দম্পতির হাতে।