G20 Summit in South Africa

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মোদী! কেন যাচ্ছেন না ট্রাম্প, ব্যাখ্যা দিল আমেরিকা

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে দাবি করা হয়, জি২০ সম্মেলনের উপর থেকে বয়কট প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা। আলোচনাসভাগুলি আমেরিকার প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন বলেও দাবি করা হয়। হোয়াইট হাউস অবশ্য অবশ্য এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫
Share:

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় রওনা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী রবিবার পর্যন্ত সে দেশে থাকবেন তিনি। এ বার জি২০ সম্মেলনের আসর বসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সম্মেলনের প্রতিটি আলোচনাসভাতেই অংশ নিতে পারেন মোদী।

Advertisement

অন্য দিকে, আমেরিকা জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশ হলেও এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে দাবি করা হয়, জি২০ সম্মেলনের উপর থেকে বয়কট প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা। আলোচনাসভাগুলি আমেরিকার প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন বলেও দাবি করা হয়। হোয়াইট হাউস অবশ্য অবশ্য এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আগামী বছর জি২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, এ বারের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার তুলে নিতে কেবল তাদের এক প্রতিনিধি জোহানেসবার্গে যাবেন।

কী কারণে ট্রাম্প জি২০ সম্মেলনে যাচ্ছেন না, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ ক্ষেত্রে তাদের ব্যাখ্যা, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা ইদীনীং একটু বেশীই আমেরিকা এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। তার ভাষা এবং ভঙ্গি ট্রাম্প এবং মার্কিন প্রশাসন ভাল ভাবে নেয়নি বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বরাবরই কিছুটা তিক্ত। সে দেশে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আসছে আমেরিকা। ট্রাম্পের ক্ষোভও সেই কারণেই। কয়েক দিন আগেই তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি২০ সম্মেলন হচ্ছে, এটা অসম্মানজনক। সেখানে শ্বেতাঙ্গদের খুন করা হচ্ছে, তাঁদের জমি-জায়গা বেআইনি ভাবে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই মানবাধিকার লঙ্ঘন যত দিন চলবে, আমেরিকার কোনও সরকারি আধিকারিক ওই দেশে যাবেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement