এই এম৪ কার্বাইন উদ্ধার করা হয়েছে জইশ জঙ্গিদের কাছ থেকে। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কাছ থেকে মিলল অত্যাধুনিক মার্কিনি রাইফেল। শুক্রবার উপত্যকার বদগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত দুই জইশ জঙ্গির কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে আমেরিকায় বানানো এম-৪ কার্বাইন রাইফেল। গত ছ’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কাশ্মীরে জঙ্গিদের কাছ থেকে মিলল এমন অত্যাধুনিক মার্কিনি রাইফেল।
শোপিয়ান, কুপওয়ারা, বদগাম... শুক্রবার কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে একসঙ্গে চলেছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষে দুই জইশ সদস্য-সহ মোট ছয় জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে সংঘর্ষের তীব্রতা সব থেকে বেশি ছিল বদগামে। একটি বাড়ির ভিতর লুকিয়ে থেকে ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছিল দুই জইশ জঙ্গি। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পাল্টা অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপিএফ-জওয়ানদের যৌথবাহিনীও। বেশ কয়েক ঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর শেষ পর্যন্ত নিহত হয় দুই জইশ জঙ্গি। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধারও হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ।
নিহত দুই জইশ জঙ্গি পাকিস্তানি নাগরিক বলেই সন্দেহ ভারতীয় গোয়েন্দাদের। বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে তাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি এম-৪ কার্বাইন রাইফেল, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। কারণ জইশ জঙ্গিরা সাধারণত এই অত্যাধুনিক রাইফেল ব্যবহার করে না। গত ছ’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জইশ জঙ্গিদের কাছ থেকে মিলল এই মার্কিন বন্দুক।
আরও পড়ুন: শ্রীহরিকোটায় গ্যালারিতে বসেই এ বার দেখা যাবে ইসরোর রকেট উৎক্ষেপণ
জইশ-ই-মহম্মদের পিছনে যে পাক সেনার মদত আছে, এই রাইফেল উদ্ধার তার প্রমাণ— এমনটাই মনে করছেন ভারতীয় সেনাকর্তারা। কারণ, পাক সেনা না দিলে অন্য কোনও ভাবে এই অত্যাধুনিক রাইফেল জইশ জঙ্গিদের কাছে পৌঁছনোর কথা নয় বলেই দাবি তাঁদের।
২০১৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো তালহা রশিদের সঙ্গে একটি সংঘর্ষ চলাকালীন প্রথম পাওয়া যায় আমেরিকায় বানানো এই এম-৪ কার্বাইন। একই বছরে মাসুদের আর এক ভাইপো উসমান হায়দরকে নিকেশ করেন ভারতীয় জওয়ানেরা। তার কাছ থেকেও পাওয়া গিয়েছিল একটি এম-৪ কার্বাইন। জইশ শীর্ষনেতাদের কাছে এই রাইফেল থাকলেও তাদের সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে এই রাইফেল কখনই পাওয়া যায়নি। তাই সামনে আসছে জইশকে অস্ত্রসাজে সজ্জিত করতে পাক সেনার তৎপরতার কথা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরেও ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল আমেরিকায় বানানো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। সন্ত্রাস রোধে ব্যবহার করা হবে, এই শর্ত থাকলেও ভারতের আকাশে এই যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ায় নিজেদের ক্ষোভ সামনে এনেছিল আমেরিকা। সেই কড়া বার্তাতেও যে কোনও কাজ হয়নি, তা বোঝা গেল জইশ জঙ্গিদের এই কার্বাইন ব্যবহারের ঘটনাতেই। এমনটাই মত ভারতীয় সেনার।