গঙ্গা ও যমুনা আসলে জীবন্ত সত্তা। তাই এক জন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক যে যে মৌলিক অধিকার পেয়ে থাকেন, সেই অধিকার ওই দুই নদীরও রয়েছে। এমনই চমকে দেওয়া রায় দিল উত্তরাখণ্ডের হাইকোর্ট।
সম্প্রতি এক রায়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট নদীর মধ্যে দেশের প্রথম জীবন্ত সত্তা হিসাবে গঙ্গা-যমুনাকেই চিহ্নিত করেছে৷ এর আগে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গঙ্গা দূষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিরস্কার করেছিল৷ অভিযোগ ওঠে, গঙ্গাকে পরিষ্কার করার বিষয়ে সঠিক ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না৷ অধুনা বিলুপ্ত সরস্বতী নদীকে খোঁজার প্রয়াস প্রসঙ্গে এর আগে একহাত নিয়েছিল আদালত৷ বলা হয়েছিল, যে নদী নেই তাকে খোঁজ করার চেষ্টা হচ্ছে৷ অথচ যেটি আছে তার স্বচ্ছতার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না৷ তার পরেই এই নয়া রায়৷
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের আগে পর্বত প্রমাণ কৃষি-ঋণ মাফে হিমশিম যোগী
আগামী প্রজন্মের জন্য গঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে এ কথাও জোর দিয়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত কেন্দ্রকে একটি গঙ্গা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বোর্ড গঠন করতে বলেছে যাতে দেশের পবিত্রতম এই নদীকে পরিষ্কার রাখা যায়, করা যায় ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ।
গঙ্গার চারপাশে পাথর খনন নিয়ে একটি মামলার ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, যে ভাবে গঙ্গার চারপাশে পাথর খনন চলছে, কলকারখানাগুলো নদীতে তাদের আবর্জনা ও রাসায়নিক ফেলছে, তা পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে গঙ্গার পাড় দুর্বল হচ্ছে তো বটেই, বন্যার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের বাসিন্দারাও বিপদের মধ্যে রয়েছেন।
তবে, বিশ্বের মধ্যে গঙ্গা ও যমুনা জীবন্ত সত্তার মর্যাদা পাওয়া প্রথম নদী নয়। দিন কয়েক আগে নিউজিল্যান্ডে এমনই এক রায় পাশ হয়েছে, যেখানে ১৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হোয়ানগানুই নদীকে জীবন্ত আখ্যা দেওয়া হয়েছে।