থানায় দুষ্কৃতী-তাণ্ডবের সাক্ষী এ বার ত্রিপুরা। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের আদলে হানাদারদের আড়াল করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধেই! এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
আগরতলার পশ্চিম থানায় ঢুকে পুলিশকর্মীদের শাসানোর অভিযোগ উঠেছে। দু’দিন আগে ওই ঘটনা ঘটলেও আজ রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এমনকী লিখিত অভিযোগ এ দিনই দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মহলের একাংশের বক্তব্য, শাসক দলের চাপেই ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, দু’দিন সময় পেয়ে নিশ্চিন্তে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় হামলার অভিযোগে রাজধানীর ৭ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এ দিন এফআইআর দায়ের করেছেন পশ্চিম থানার ওসি মিলন দত্ত। ত্রিপুরা পুলিশের আইজি (পুলিশ কন্ট্রোল) নেপালচন্দ্র দাস জানান, দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুষ্কৃতী ইদ্রিশ মিঞা, রশিদ মিঞা, রতন মীর, এন আই আহমেদ, সিদ্দিক মিঞা, জয়নাল মিঞা এবং দীপক মিঞারা রাজনগর এলাকার বাসিন্দা।
থানায় ঢুকে ওসিকে হুমকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হল না? পুলিশকর্তাদের কাছে অবশ্য সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
প্রদেশ কংগ্রেস ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, শাসক দলের ‘আশ্রিত’ হওয়াতেই ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার সাহস পায়নি পুলিশ। যদিও শাসক বামফ্রন্টের নেতাদের একাংশ বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।