BJP

Varun Gandhi: লখিমপুর হিংসা, গডসে স্তুতির নিন্দা করে বিজেপি কর্মসমিতি থেকে বাদ বরুণ, মা মেনকাও

২০০৯ থেকে টানা তিন বার লোকসভা ভোটে জিতেছেন বরুণ। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট এবং সুলতানপুর থেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ১৬:০২
Share:

মেনকা এবং বরুণ গাঁধী। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতি থেকে ছেঁটে ফেলা হল বরুণ গাঁধীকে। বাদ পড়লেন তাঁর মা, মেনকাও। সম্প্রতি লখিমপুর হিংসার পর কৃষক হত্যার নিন্দা করেছিলেন বরুণ। মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিবসে নাথুরাম গডসের স্তুতির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। তারই জেরে বরুণকে দলের অন্দরে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

বুধবার টুইটারে বরুণ নতুন করে লখিমপুর প্রসঙ্গ তুলে লিখেছিলেন ‘খুন করে প্রতিবাদকারীদের চুপ করানো যাবে না।’ পাশাপাশি, প্রতিবাদী কৃষকদের গাড়ি পিষে দেওয়ার যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে তা ‘পুরোপুরি স্পষ্ট’। ঘটনার মূল অভিযুক্ত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিসের শাস্তিরও দাবি তোলেন তিনি।

Advertisement

এর আগে গাঁধী জয়ন্তীতে ভারতে টুইটারে রাজনৈতিক আলোচনায় সব থেকে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল ‘নাথুরাম গডসে জিন্দাবাদ’। গাঁধীর জন্মদিনে এত বহু মানু. গডসের জয়ধ্বনি দেওয়ায় টুইটারে ‘#নাথুরাম গডসে জিন্দাবাদ’ ট্রেন্ড করেছিল। বরুণ সেই ঘটনার নিন্দা করে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যারা গডসে জিন্দাবাদ বলে টুইট করছে, তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে দেশের মুখ পোড়াচ্ছে।”

পাশাপাশি, ‘ওই সব উন্মাদদের’ কোনও ভাবেই রাজনীতির মূল স্রোতে ঢুকতে দেওয়া চলবে না বলে সওয়াল করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, তার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিজেপি-র ‘মূল স্রোতের’ বাইরে চলে গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০৯ থেকে টানা তিন বার লোকসভা ভোটে জিতেছেন বরুণ। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট এবং সুলতানপুর থেকে।

Advertisement

অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য মেনকা গত দু’দশক ধরে বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভাতেও স্থান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর কেন্দ্র থেকে জিতলেন তাঁকে আর মন্ত্রী করা হয়নি। বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মেনকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন