বরুণ গাঁধীকে বাদ দিয়েই উত্তরপ্রদেশের রণনীতির ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে ফেললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
কাল ইলাহাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ত্রিবেণীর তীরে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইলাহাবাদ ছাড়ার পরে উত্তরপ্রদেশের নেতাদের নিয়ে রাত পর্যন্ত এক গোপন বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। সেই রাজ্যের সব সাংসদকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু বরুণ গাঁধী ছিলেন না। বরুণকে বাদ দিয়েই অমিত উত্তরপ্রদেশে দলের রণকৌশলের কথা সব নেতাকে জানিয়ে দেন।
বিজেপির একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন বরুণও।
কিন্তু ‘পারিবারিক’ কারণ দেখিয়ে তিনি যাননি। এক নেতার কথায়, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করার ব্যাপারে বরুণ যে বাড়াবাড়ি করছিলেন, তা দলের নেতৃত্ব ভাল চোখে নেননি। তার উপর ইলাহাবাদ তিনি যে ভাবে পোস্টারে ছয়লাপ করেছেন, রোড-শো করেছেন, নজরে গিয়েছে দলের। অবশ্য মানেকা-পুত্রের দাবি, অমিত শাহকে জানিয়েই তিনি বৈঠকে যাননি।
বিজেপির সিদ্ধান্ত, আগামী ১৫ দিন উত্তরপ্রদেশের সব সাংসদ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ঘুরে পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন। তার পর ভোট পর্যন্ত দল প্রতি চার মাসে একটি সমীক্ষা করবে। দু’টি বিষয় দেখা হবে। এক, বিজেপির কৌশল তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে কি না। দুই, কোনও নেতা ফাঁকি দিচ্ছেন কি না। বিজেপি সূত্রের দাবি, এর ভিত্তিতে দলের কৌশল বদল করা হবে। প্রয়োজনে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও ‘উপযুক্ত’ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।