ঘরে-বাইরে চাপের মুখে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। বিতর্কিত বিল তাই আপাতত ঠান্ডা ঘরে। —ফাইল চিত্র।
প্রবল সমালোচনার মুখে পিছু হঠার ইঙ্গিত বসুন্ধরা রাজের। মন্ত্রী-বিধায়ক-আমলা-বিচারপতি-ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধে তদন্ত আটকাতে যে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে রাজস্থানের সরকার, তাকে আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা। কিন্তু ঘরে-বাইরে বিরোধিতা শুরু হওয়ার পর কিছুটা ব্যাকফুটে মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি বিল পাশ করানোর পথ থেকে সরে এলেন তিনি। বিশদে বিবেচনার জন্য বিলটিকে আপাতত বিধানসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে দিল সরকার।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানকে আলোচনায় না ডাকলে কথা হবে না: ঘোষণা হুরিয়তের
মন্ত্রী, বিধায়ক, আমলা, বিচারপতি বা বিচারকরা কর্মরত অবস্থায় যে সব কাজ করেছেন, তার প্রেক্ষিতে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ যাতে দায়ের করা না যায়, কোনও তদন্তের নির্দেশও যাতে আদালত থেকে আদায় করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে গত মাসেই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল বসুন্ধরা রাজের সরকার। যতক্ষণ না সরকার তদন্তের অনুমতি দিচ্ছে, ততক্ষণ সংবাদমাধ্যমও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও কথা লিখতে বা সম্প্রচার করতে পারবে না, বলা হয়েছিল অর্ডিন্যান্সে। সেই অর্ডিন্যান্সকেই বিল হিসেবে পেশ করা হয়েছে রাজস্থান বিধানসভায়। সেখানে ২০০টি আসনের ১৬২টি-ই বিজেপির। অর্থাৎ বিল পাশ করানো বসুন্ধরা সরকারের পক্ষে একেবারেই সমস্যার বিষয় নয়। কিন্তু সোমবার অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে রাজস্থান হাইকোর্টে। অর্ডিন্যান্স এবং বিলের তীব্র বিরোধিতায় পথে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। একাধিক বিজেপি বিধায়কও এই অর্ডিন্যান্সের তীব্র নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন:ভারত-চিন সীমান্তে নতুন ৫০টি চৌকি, ঘোষণা রাজনাথের
পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয় বুঝে সোমবার রাতে জয়পুরে নিজের বাসভবনে মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই বিলটি নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে খবর। তার পরেই মঙ্গলবার রাজস্থান সরকার বিতর্কিত বিলটিকে বিধানসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। বিশদে বিচার-বিশ্লেষণ করে সিলেক্ট কমিটি যতক্ষণ না বিলটির বিষয়ে নিজের মতামত জানাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিলের উপর ভোটাভুটি হবে না।