Uttarkashi Tunnel Collapse

আমেরিকান খননযন্ত্র ভেঙে চৌচির! উপর থেকে খুঁড়তে সুড়ঙ্গের মাথায় নতুন যন্ত্র, কী পরিকল্পনা?

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ শুক্রবার রাতে নতুন করে ব্যাহত হয়েছে। খননযন্ত্রটি ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৪
Share:

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ বার বার বাধা পাচ্ছে। শুক্রবার রাতে সম্ভবত সবচেয়ে বড় বাধাটি এসেছে। ভেঙে গিয়েছে মূল খননযন্ত্র। আমেরিকায় তৈরি ওই যন্ত্রের মাধ্যমেই সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে খুঁড়ে এগোচ্ছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সেই যন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে উদ্ধারকাজ। ওই যন্ত্রকে আর কোনও ভাবেই মেরামত করা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আর্নল্ড ডিক্স। তাই এ বার অন্য রাস্তা অবলম্বন করতে হবে।

Advertisement

সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে এ বার উপর দিক থেকে খোঁড়ার কাজ শুরু হতে পারে। তার জন্য সুড়ঙ্গের উপরে পৌঁছে গিয়েছে নতুন যন্ত্র। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে উপর দিক থেকে নীচ পর্যন্ত খুঁড়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন উদ্ধারকারীরা।

আমেরিকান যন্ত্রটি শুক্রবার রাতে ধ্বংসস্তূপের একটি ধাতব অংশে ধাক্কা খায়। যন্ত্রের একটি অংশ সেখানে আটকে যায়। তার পর ভেঙে চৌচির হয়ে যায় যন্ত্রের একাংশ। শনিবার সকালে সেটিকে সুড়ঙ্গ পথে বাইরে বার করে আনা হয়েছে। ওই যন্ত্র আর কোনও ভাবেই মেরামত করে কাজে লাগানো সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ ডিক্স বলেন, ‘‘অনেক উপায় আছে। একটামাত্র পথের দিকে আমরা তাকিয়ে নেই। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চলছে। আমেরিকান যন্ত্রটি আপনারা আর দেখতে পাবেন না। ওই যন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আর সেটাকে ঠিক করা যাবে না। ওই যন্ত্র দিয়ে আর খোঁড়াও হবে না।’’

Advertisement

খুঁড়তে খুঁড়তে গন্তব্যের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। আর কয়েক মিটার মাত্র বাকি ছিল। সেই কারণে বাকি অংশটুকু শাবল-গাঁইতি দিয়ে উদ্ধারকারীরা নিজেরাও খুঁড়ে নিতে পারেন। সে বিষয়েও কথাবার্তা চলছে। দিল্লি থেকে পাথর কাটার কাজে দক্ষ কয়েক জন শ্রমিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে উত্তরকাশীতে। উপর থেকে নতুন করে খোঁড়া হবে কি না, উদ্ধারকারীরা নিজেরাই খোঁড়ার কাজে হাত লাগাবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

এ দিকে, উদ্ধারকাজ বার বার থমকে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিকদের পরিজনদের মাঝে। তাঁরা বার বার হতাশ হচ্ছেন। শ্রমিকেরা সকলেই অবশ্য সুস্থ আছেন। তাঁদের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুধু উদ্ধারের দিন পিছিয়ে যাচ্ছে বার বার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন