এনআরসি নিয়ে বিতর্কের জেরে অসমে বাঙালি ও অসমিয়াদের নতুন করে সংঘাতের পরিস্থিতি এখন আর রয়েছে বলে মনে করছে না কংগ্রেস। ফের ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযানও যাতে শুরু না হয়, সে জন্যও রুখে দাঁড়াবে রাহুল গাঁধীর দল। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ আজ এ কথা জানান। তাঁর কথায়, ‘‘অসমে বাঙালি-অসমিয়ার সম্পর্ক এখন অনেক ভাল। ফের যাতে জলঘোলা না হয়, সে জন্য আমরা ঝাঁপাব।’’
এনআরসি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করছেন অমিত শাহ। সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধিয়ে ফায়দা তুলতে চাইছেন।’’ তাঁর দাবি, যে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম খসড়ায় নেই তাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়।
এর আগে অসমে এনআরসি বিতর্কের গোটা দায় বিজেপি সভাপতি কংগ্রেসের কাঁধে চাপিয়ে ছিলেন। রাজ্যসভায় অমিত বলেছিলেন, ‘‘রাজীব গাঁধী যখন প্রধানমন্ত্রী, তখন অসম থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করার লক্ষ্যেই অসম চুক্তি করেন। পর পর দু’টি ইউপিএ সরকার যা করতে পারেনি, এনডিএ সরকার তা পেরেছে।’’ আজ এই যুক্তি খণ্ডনের চেষ্টা করে গগৈ বলেন, ‘‘শুধু অসম নয়, গোটা দেশে কত বিদেশি আছেন, তার খতিয়ান তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন সরকার।