In-house committee on cash row

‘নগদ-কাণ্ড’: তিন বিচারপতির কমিটি নিয়ে প্রশ্ন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের! দাবি: সাংবিধানিক কোনও ভিত্তিই নেই কমিটির

‘নগদ-কাণ্ড’ ঘিরে বিতর্ক ছড়ানোর পর সুপ্রিম কোর্ট সেটির অনুসন্ধানের জন্য তিন বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এ বার সংশয় প্রকাশ করলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ২১:০৮
Share:

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।

‘নগদ-কাণ্ড’ ঘিরে বিতর্কে তিন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বে়ঞ্চ’ অনুসারে, ধনখড়ের দাবি ওই অনুসন্ধান কমিটির কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। সেটির আইনি গ্রহণযোগ্যতাও নেই বলে দাবি উপরাষ্ট্রপতির।

Advertisement

দিল্লি হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবনে আগুন নেভাতে গিয়ে নগদ পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁর সরকারি বাংলোয় যখন আগুন লেগেছিল, তখন বিচারপতি বর্মা বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের সদস্যেরাই দমকল ডেকেছিলেন। দমকলের কর্মীরা বাড়িতে ‘টাকার পাহাড়’ দেখতে পান বলে দাবি করা হচ্ছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্টও। গঠিত হয় তিন হাই কোর্টের তিন বিচারপতিকে নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি। ওই কমিটিতে ছিলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন।

ওই কমিটি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে শীর্ষ আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। এরই মধ্যে সোমবার ওই অনুসন্ধান কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করলেন উপরাষ্ট্রপতি। ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ধনখড় বলেন, “একটি হাই কোর্ট (পঞ্জাব ও হরিয়ানা)-এর অধীনে দু’টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পড়ে। তারা এমন একটি তদন্তে জড়িত ছিল, যার কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি বা আইনি মর্যাদা ছিল না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটির কোনও গুরুত্ব নেই।”

Advertisement

সোমবার এক বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময়ে দিল্লি হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি বর্মার ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে এই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খন্নার প্রশংসাও করেন তিনি। এর ফলে বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরেছে বলেও মনে করছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement