বিক্রম কোঠারি।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নীরব মোদী কেলেঙ্কারি সামনে আসার এক সপ্তাহও পেরোয়নি। তার মধ্যেই রোটোম্যাক পেনের ঋণ দুর্নীতি সামনে আসে শনিবার। সেই কাণ্ডে সংস্থা কর্ণধার বিক্রম কোঠারিও দেশ ছেড়েছেন বলে অভিযোগ উঠল নানা মহলে। যদিও রবিবার এক বিবৃতিতে কোঠারির দাবি, তিনি কানপুরের বাসিন্দা, সেখানেই থাকবেন। তবে সংস্থার কাজে তাঁকে বিদেশে যেতে হয় বলেও কোঠারির দাবি।
শনিবার প্রথমে জানা গিয়েছিল, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৫০০ কোটি টাকা গায়েব করেছেন কোঠারি। কিন্তু রবিবারের খবরে অভিযোগ, সেই অঙ্ক প্রায় ৮০০ কোটি। কোঠারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েও আসল বা সুদ কোনওটাই শোধ করেননি তিনি। কোনও নিয়ম-কানুনের পরোয়া না করেই কোঠারিকে এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন তিনি ঋণ শোধ না করায় ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা তা আদায়ের চেষ্টা করছেন।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পি কে অবস্থী বলেছেন, ব্যাঙ্ক থেকে কোঠারির ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে এনসিএলটির নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলছে। সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি বিক্রির প্রস্তুতিও চলছে। এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ ৩৫২ কোটি টাকার। সংস্থাকে ঋণ দেওয়া অন্য ব্যাঙ্কগুলি হল ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, গত বছরই রোটোম্যাক গ্লোবালকে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি বলে ঘোষণা করেছিল ব্যাঙ্ক অব বরোদা। যার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করে সংস্থা। আদালতের ডিভিশেন বেঞ্চ রায় দেয় সংস্থার পক্ষেই। ব্যাঙ্ককে ৩০০ কোটি শোধের প্রস্তাব দিলেও, অন্যায় ভাবে সংস্থাকে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি তকমা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আদালত।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় যাঁর ছবি দেওয়া হয়েছিল তিনি রোটোম্যাক কর্তা বিক্রম কোঠারি নন। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।)