জলে দাঁড়িয়ে আন্দোলন

এলাকার বিধায়ক যখন মিজোরামের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ঠিক তখনই অনুন্নয়নের প্রতিবাদে জলে নেমে আন্দোলন করলেন সেই এলাকার বাসিন্দারা। করিমগঞ্জের বিলবাড়ি-নতুন বাজার এলাকায় ওই প্রতিবাদে সামিল হন ১৫-২০ জন। ২৪ ঘণ্টা পেরলেও জেলা প্রশাসনের কেউ সেখানে পৌঁছননি বলে অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২১
Share:

সেতুর দাবিতে জলে নেমে আন্দোলন। সোমবার করিমগঞ্জে। — নিজস্ব চিত্র।

এলাকার বিধায়ক যখন মিজোরামের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ঠিক তখনই অনুন্নয়নের প্রতিবাদে জলে নেমে আন্দোলন করলেন সেই এলাকার বাসিন্দারা। করিমগঞ্জের বিলবাড়ি-নতুন বাজার এলাকায় ওই প্রতিবাদে সামিল হন ১৫-২০ জন। ২৪ ঘণ্টা পেরলেও জেলা প্রশাসনের কেউ সেখানে পৌঁছননি বলে অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

দক্ষিণ করিমগঞ্জ সমষ্টির বিলবাড়ি-নতুনবাজার এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বেহাল। গ্রামে নেই একটিও পাকা সেতু। ফলে নেফাতুলা খাসি খালের উপর এলাকার মানুষ বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করেন। জেলা প্রশাসন বা স্থানীয় বিধায়কের এ নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই। এলাকার মানুষের অভিযোগ, দক্ষিণ করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের কাছে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য বারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। অথচ বর্ষার সময় বাঁশের সাঁকোটিও জলের তোড়ে ভেসে যায়। সে সময় নৌকাই এক মাত্র ভরসা।

এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষার মরসুম আসছে। পাকা সেতু না থাকায় নয়াগ্রাম, সাতকরাগুল, বিলবাড়ি, চেংজুরিপার, গাংপার, রানিরগুল এলাকার মানুষ এ বারও বিপাকে পড়বেন। তাই জলে নেমে আন্দোলন করছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বর্ষার সময় জলে ডুবেই থাকতে হবে। তাই তাঁরা আগেই জলে ডুবে থাকলেন। যত ক্ষণ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তত ক্ষণ আন্দোলন চলবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন