Snake

উঠোনে ছিল বাসা, হঠাৎ ১০০ সাপ ‘ঘর’ ছেড়ে ঘুরছে গোটা এলাকা! ‘কিলবিল সোসাইটি’ মেরঠের গ্রাম

সর্পাতঙ্কের কথা জানার পরে পদক্ষেপ করছে বন দফতর। বিশেষত, সাপেদের মেরে ফেলায় চিন্তায় তারা। ডিএফও রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘সাপেদের পিটিয়ে মেরে ফেলার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ ১৯:০৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দু’দিন ধরে সাপের আতঙ্কে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের একটি গোটা গ্রাম। সাপের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ বাইরে যাচ্ছেন লাঠি হাতে। গ্রামে নাকি ছড়িয়ে পড়েছে ১০০-র বেশি সাপ! ভয়ের চোটে গ্রামবাসীরা ৫০-র বেশি সাপ মেরে ফেলেছেন। ওই খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে বন দফতর। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে ওই এলাকায় গিয়েছেন বনকর্মীরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে সর্পাতঙ্কের শুরু মেরঠের সিমাউলি গ্রামে। এক কৃষকের বাড়ির উঠোনেই নাকি ছিল সাপেদের বাসা। হঠাৎই কিলবিলিয়ে একের পর সাপ সেখান থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে সাপ দেখে থমকে দাঁড়াচ্ছেন বাসিন্দারা। কারও বাড়িতেও ঢুকে পড়ছে সাপ। এই অবস্থায় আতঙ্কিত গোটা গ্রাম। বিশেষ করে ছোটদের নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকেরা। কয়েক জন একজোট হয়ে রবিবার রাতের অন্ধকারে ৫০টির বেশি সাপকে মেরে পুড়িয়ে দেন। কিন্তু তার পরেও সাপ বেরোনোর বিরাম নেই!

সর্পাতঙ্কের কথা জানার পরে পদক্ষেপ করছে বন দফতর। বিশেষত, সাপেদের মেরে ফেলায় চিন্তায় তারা। সোমবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ডিএফও রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘সাপেদের পিটিয়ে মেরে ফেলার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। সেটা দেখে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সাপেদের মারা যায় না।’’ তিনি জানান, বন দফতরের কাছে খবর আছে যে বেশ কয়েকটি সাপকে মেরে পুড়িয়ে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। এতগুলো সাপ বেরিয়েছে যখন, বন দফতরকে খবর দেওয়া উচিত ছিল গ্রামবাসীদের। যা-ই হোক, বন দফতর স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বিষয়টি দেখছে।

Advertisement

বন দফতর প্রাথমিক তদন্তের পরে জানতে পেরেছে, ওই সাপগুলি নির্বিষ। মূলত জলা জায়গায় ওই সাপগুলির বাস। তা ছাড়া নর্দমাতেও থাকে। কিন্তু আতঙ্কের জেরে তাদের মেরে ফেলছেন গ্রামবাসীরা। ওই এলাকায় যাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement