—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিঘা ছয়েক জমিতে চাষাবাদের উপর নির্ভর করে তিন জনের সংসার চলে। কিন্তু ছেলের দাবি, এ ভাবে থাকা যায় না। একটা ভাল বাড়ি তৈরি করা দরকার। আর একটি ভাল গাড়ি কিনতেই হবে। ২১ বছরের ছেলের আবদারে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন বাবা-মা। একমাত্র সন্তানকে অনেক বোঝান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু বাড়ি-গাড়ি না পেয়ে নিজেদের চাষের জমিতেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গনার সিদ্দিপেট জেলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩০ মে জমি থেকে বাড়ি ফিরে ২১ বছরের যুবক বাবা-মাকে জানান, তিনি বিষ খেয়েছেন। কারণ, বাবা-মা তাঁর আবদার মেনে নেননি। ছেলের কথায় চমকে যান বাবা-মা। তাঁকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছোটেন দম্পতি। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতালেই মারা যান যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দামি গাড়ি কিনে না দেওয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
সোমবার পুলিশের কাছে মৃতের বাবা জানান, ছেলে বেশি দূর পড়াশোনা করেনি। এক দিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরে বলে যে, একটা গাড়ি কিনতে হবে। তাড়াতাড়ি। একটি বাড়িও তৈরি করতে হবে। ছেলের কথা প্রথমে উড়িয়ে দিলেও বার বার তাঁর একই কথায় চাপে পড়ে যান দম্পতি। ছেলেকে বোঝাতে বসেন তাঁরা। নিজেদের আর্থিক অবস্থার কথা বলেন। কিন্তু ওই কথাবার্তার পরে ছেলে মনমরা হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
দিন কয়েক পরে একদিন চাষের জমি থেকে ঘামতে ঘামতে ছেলে বাড়ি ফেরেন। বাবা-মাকে তিনি জানান, তাঁর একটা গাড়ি কেনার স্বপ্ন ছিল। সেটাও ‘পূরণ’ করেননি বাবা-মা। তাই তিনি মৃত্যুকেই বেছে নিয়েছেন। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বাবা-মায়ের বয়ান নেওয়ার পর এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই জানিয়েছে পুলিশ।