গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
হাসপাতালের শৌচাগারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক রোগী। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁকে বেঁধে মারধর করেন এলাকাবাসী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। খানিক সুস্থ হয়ে হাসপাতালে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি।
কিছু দিন আগে গোসাবায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ‘নির্যাতিতা’ মানসিক ভারসাম্যহীন। বার বার ধর্ষণের পরে তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। ওই তরুণী তখন অভিযুক্তের নাম বলেন পরিবারকে। এর পর ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী অভিযুক্তকে ঘেরাও করেন রবিবার। বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে তাঁকে মারধর করা হয়। রবিবার বিকেলে গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। প্রহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ছোট মোল্লাখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, রবিবার রাতে হাসপাতালের শৌচাগারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ধর্ষণে অভিযুক্ত। ওই খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। ওই ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় সোমবার সকালে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে যুবককে। মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর কথা শুনে গ্রামের মানুষজন তাঁকে মারধর করেছেন। এ নিয়ে ছোট মোল্লাখালি থানায় যুবকের পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।