সোমবার ভোটগ্রহণ পর্বে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন শুরু হল। সোমবার সকাল থেকে ২০টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভোট হবে। সোমবার সন্ধ্যাতেই ফলপ্রকাশের কথা।
এ বার মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। চারটি বর্ষের ৫টি করে মোট ২০টি পদে ভোটগ্রহণ হয়।এখানকার মূল সংগঠন মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বা এমসিডিএসএ। তারা সবক’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। চারটি আসনে লড়ছে এসউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন ডিএসও। বাকি আসনগুলিতে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০২২ সালে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। সে বার দীর্ঘ ১২ দিন ধরে অনশন চালান মেডিক্যালের কয়েক জন পড়ুয়া। ১২ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার করার সময় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ঘোষণা করেন, নিজেদের ভোট তাঁরা নিজেরাই করবেন। নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। শেষমেশ সমাজের বিশিষ্টদের তত্ত্বাবধানে এই ভোট করানো হয়। সমাজকর্মী ও চিকিৎসক বিনায়ক সেন, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায় এবং মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্রকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নজরদারি করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাতে রাজি হন তাঁরা। শেষমেশ এই নির্বাচনকে মান্যতা দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে প্রতি বছর ভোট হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ভোটপ্রক্রিয়া চলে। তবে এ বার আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন এবং ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ভোট হয়নি। অবশেষে ২ জুন সেই ভোট হচ্ছে।
এমসিডিএসএ-র দাবি, এ বারও শাসকদল তৃণমূল নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে সেই বাধা উপেক্ষা এবং অতিক্রম করে তারা ভোটপ্রক্রিয়ার আয়োজন করেছে। অন্য দিকে, ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ‘নির্বাচন’ বলতে নারাজ তৃণমূলের জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, এই নির্বাচনের বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন বা ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্সেস, কেউ জানত না। বস্তুত, এই নির্বাচনে তৃণমূল কোনও প্রার্থী দেয়নি।