Viral

এমআরআই মেশিনে রোগীকে ঢুকিয়ে ভুলে গেলেন টেকনিশিয়ান! তার পর...

১৫ মিনিট তো দূরের কথা প্রায় ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও তাঁকে বের করা হয়নি এমআরআই মেশিন থেকে।তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হতে থাকে।এমনকি মেশিনের মধ্যে তাপও ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু তারপরেও তাঁকে বের করা হয় না। এক সময় তিনি কাঁদতে শুরু করে দেন। কিন্তু তাও কেউ তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। কারণ এমআরআই মেশিনের ওই ঘরে কেউ ছিলেনই না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:০২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

চোটের অবস্থা জানতে এমআরআইয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিত্সক। কিন্তু সেই এমআরআই করাতে গিয়ে যে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হতে হবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রামহর লোহার। অভিযোগ, তাঁকে এমআরআই মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়ে ভুলে গিয়েছিলেন টেকনিশিয়ান! বেশ কিছু ক্ষণ পরে নিজের চেষ্টায় কোনও মতে মেশিন থেকে বাইরে আসেন তিনি। চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার পঞ্চকুলায়।

Advertisement

দিন কয়েক আগে হরিয়ানার পঞ্চকুলার রামহর লোহার (৫৯) বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। কাঁধে চোট লাগে তাঁর। চিকিত্সক ললিত কৌশলপরামর্শ দেন কাঁধের এমআরআই করার। সেই মতো তিনি রবিবার বিকেলে পঞ্চকুলার সিভিল হাসপাতালে যান এমআরআই করানোর জন্য।

সেখানে গিয়ে হাসপাতালের সব নিয়ম পূরণ করে এমআরআই রুমে পৌঁছন।রামহরের দাবি,সেখানে টেকনিশিয়ান তাঁকে বলেন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট এমআরআই মেশিনের মধ্যে থাকতে হবে।সেই মতো তাঁকে এমআরআই মেশিনে শুইয়ে বেল্ট দিয়েশক্ত করে আটকে দেওয়া হয়, যাতে নড়াচড়া না করতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন : হাওয়া খেতে বিমানের দরজাই খুলে ফেললেন মহিলা, দেখুন তারপর কী হল

রামহরের দাবি, ১৫ মিনিট তো দূরের কথা প্রায় ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও তাঁকে বের করা হয়নি এমআরআই মেশিন থেকে।তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হতে থাকে।এমনকি মেশিনের মধ্যে তাপও ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু তারপরেও তাঁকে বের করা হয় না। এক সময় তিনি কাঁদতে শুরু করে দেন। কিন্তু তাও কেউ তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। কারণ এমআরআই মেশিনের ওই ঘরে কেউ ছিলেনই না।

আরও পড়ুন : হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘ভুতুড়ে হুইলচেয়ার’

লোহার বুঝতে পারেন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।তাঁর মনে হচ্ছিল, মেশিন থেকে শীঘ্র বেরতে না পারলে তিনি মারা যেতে পারেন। তাই তিনি নিজেই মেশিন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। বেল্ট ছিঁড়ে বেরনোর চেষ্টা করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত সফলও হন লোহার।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী সোমবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন