Uttar Pradesh

সম্পত্তি হাতাতে মৃতের আঙুলের টিপছাপ নিচ্ছেন কীর্তিমান আত্মীয়! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। একটু পরই সেই দেহ শেষযাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। কিন্তু তার আগেই তৎপর মৃতার আত্মীয়েরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আগরা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৫৯
Share:

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃতা মহিলার নাম কমলা দেবী। ছবি: টুইটার।

ইচ্ছাপত্র না রেখে মারা গিয়েছেন বৃদ্ধা। তামাম সম্পত্তি রয়েছে তাঁর নামেই। সেই সম্পত্তির ভাগ পেতে তাই ইচ্ছাপত্রে মৃতদেহের বুড়ো আঙুলের ছাপ নিতে দেখা গেল আত্মীয়দের! উত্তরপ্রদেশের আগরার ঘটনা। এই নিয়ে একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। একটু পরই সেই দেহ শেষযাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। কিন্তু তার আগেই তৎপর মৃতার আত্মীয়েরা। তবে তাঁকে শেষযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়, ইচ্ছাপত্রে সই করানোর জন্য। কিন্তু মৃত সই করবে কী করে! তাই অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ঢুকে একের পর এক ইচ্ছাপত্রে মৃতদেহের আঙুলের ছাপ নিতে থাকেন মৃতার এক ‘কীর্তিমান’ আত্মীয়। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে এক জন আইনজীবীকেও।

এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃতা মহিলার নাম কমলা দেবী। তাঁর এক তুতো নাতি জিতেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, কমলার স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন এবং দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। তাই বৃদ্ধার আচমকা মৃত্যুর পর সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাঁর দেওরের ছেলেরা মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার পথে ওই কাণ্ড ঘটান। মাঝপথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ইচ্ছাপত্রে মৃতার আঙুলের ছাপ নিয়ে নেওয়া হয়।

জিতেন্দ্র আরও জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুমা ২০২১ সালের ৮ মে মারা গিয়েছেন। কিন্তু ভিডিয়োটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তার পরই মৃতার দেওরের ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জিতেন্দ্র। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে আগরা পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন