প্রথম লক্ষ্য ছিল দলীয় ক্ষমতা থেকে শশিকলার ভাইপো টিটিভি দিনকরনকে সরানো। দ্বিতীয়টা ছিল পনীরসেলভমকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করা। প্রথম লক্ষ্যপূরণে সফল বিজেপি। যে পদক্ষেপকে ধর্মযুদ্ধের প্রথম জয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন পনীরসেলভমও।
বিনা ঝামেলায় প্রথম রাউন্ডে জিতে গেলেও পরবর্তী জয় এত সহজে আসবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য সংশয়ে পনীরের শিবির। কারণ কাল দিনকরন সরে যাওয়ার পরে আশা করা হচ্ছিল, আজই এডিএমকের দুই শিবির মিশে যাবে। ঐক্যবদ্ধ এডিএমকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা হবে পনীরসেলভমের নাম। আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীকে করা হবে দলের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে আসার কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করেননি পলানী। সারাদিনে সে ভাবে মুখ না খোলায় তাঁর অবস্থান নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে দুই শিবিরে। যদিও পনীরের দাবি, ‘‘প্রথম লক্ষ্য ছিল দলকে শশিকলার প্রভাব থেকে মুক্ত করা। এ বার সংযুক্তিকরণের জন্য দু’শিবিরে আলোচনা শুরু হবে।’’
আজ বিকেলে বিশ্বস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন দিনকরন। নিজের শিবির ঘোষণা করেন কি না, সে দিকে তাকিয়ে ছিল সকলে। কিন্তু নানা দুর্নীতির মামলায় ফেঁসে থাকা দিনকরন সেই ঝুঁকি নিতে চাননি। বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিলাম।’’ নির্বাচন কমিশনকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় চলতি সপ্তাহেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুরো বিষয়টি বিজেপির চক্রান্ত বলে অভিযোগ করে দিনকরন শিবিরের মুখপাত্র নঞ্জিল সম্পথ বলেন, ‘‘এডিএমকে শিবিরে ভাঙন ধরাতে চায় বিজেপি। দিনকরনকে সরানো তারই অঙ্গ।’’