বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ। -ফাইল চিত্র।
ইরাকের মসুলে জঙ্গিদের হাতে নিহত ৩৯ জন ভারতীয়ের দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হল। সোমবার একটি বিশেষ বিমানে চাপিয়ে ওই দেহাবশেষগুলি দেশে ফিরিয়ে আনেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ। সেই বিমান নামে অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এ দিন এও জানান, ওই ভারতীয়রা সকলেই অবৈধ ভাবে ইরাকে গিয়েছিলেন।
অমৃতসর বিমানবন্দরে এ দিন সিংহ বলেন, ‘‘২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার পর আমরা বরাবরই বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় নাগরিকদের উৎসাহ দিয়ে চলেছি। কিন্তু ইরাকে এই যে ৪০ জন (যাঁদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন) ভারতীয় গিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না ভারতীয় দূতাবাসের কাছে। তাঁরা ইরাকে গিয়েছিলেন অবৈধ এজেন্টদের মাধ্যমে। তার ফলে কারা কারা ইরাকে গিয়েছিলেন, ইরাকের কোথায় গিয়েছিলেন, তার খোঁজখবর পেতে আমাদের অনেকটাই সময় গিয়েছে।’’
ইরাকে নিহত ভারতীয়দের মধ্যে ছিলেন বিহারের ছয় বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের দেহ এ দিন রাত দশটা নাগাদ পটনা বিমানবন্দের নিয়ে আসেন জেনারেল ভি কে সিংহ। মৃতেরা হলেন, সন্তোষকুমার সিংহ, বিদ্যভূষণ তিওয়ারি, আদালত সিংহ, সুনীলকুমার কুশহওয়া এবং ধর্মেন্দ্র কুমার। এঁদের সকলের বাড়ি সিওয়ানে।
বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ।
আরও পড়ুন- সুষমার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব কংগ্রেসের
আরও পড়ুন- ইরাকে মৃত্যু নিয়ে সরকার এখন বিপাকে
বিমান বন্দরে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিব। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ সদস্য। বিমানবন্দরে মৃতদের পরিবারের সদস্যদেরও নিয়ে আসা হয়।
ভি কে সিংহ বলেন, “নিহতদের মধ্যে বিহারের ছ’জন ছিলেন। পাঁচ জনের দেহ মিলেছে। বাকি এক জন রাজু যাদবের দেহের সনাক্তকরণ হয়নি। ৭০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। বাকিটা হয়ে গেলেই তাঁর দেহ নিয়ে আসা হবে।
মরদেহে মাল্যদান করছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
নিহত ৩৯ জন ভারতীয়ের পরিবার, পরিজনরা সরকারি চাকরি পাবেন কি না, সাংবাদিকরা সেই প্রশ্ন করলে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা কোনও ফুটবল গেম নয়। বিস্কুট বিলিও নয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যথেষ্টই সংবেদনশীল। কারা কারা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তা বাছতে ইতমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রক নিহতদের পরিবারের যাবতীয় খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছে তাঁদের পরিবার, পরিজনের কাছে।’’