মোতিহারীর জনসভায় সুশীল মোদী। ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে হবে বিহারবাসীকে। কারণ চিন আর পাকিস্তান তাঁকে ভয় পায়। এমনই মন্তব্য করে এ বার অমিত শাহের দেখানো পথে আরও খানিকটা এগিয়ে গেলেন সুশীল মোদী। বিহার বিজেপি’র পোস্টারবয় সুশীলের টুইট, পাকিস্তানে উৎসব নয় ভারতে দিওয়ালি চাই। তাই বিজেপিকেই জেতাতে হবে।
রক্সৌলের নির্বাচনী জনসভায় বৃহস্পতিবারই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘ভুল করেও যদি বিজেপি বিহারে হেরে যায়, তা হলে বাজি পুড়বে পাকিস্তানে।’’ তা নিয়ে বিতর্ক তীব্র। নীতীশ, লালু এবং কংগ্রেস নেতারা বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্যের প্রবল সমালোচনা করেছেন। এমন ‘মেরুকরণের চেষ্টা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুক্রবার সকালেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি বিরোধী মহাজোট। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই বিজেপি’র। কোনও সমালোচনার তোয়াক্কাই করছেন না বিহার বিজেপি’র নেতারা। বিহারে এনডিএ’র তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার যিনি, সেই সুশীল মোদীও হাঁটলেন দলের সভাপতির পথেই। বিতর্কের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়ে তিনি শুক্রবার বললেন, ‘‘আমি বিহারের মানুষের কাছে আবেদন করব, নরেন্দ্র মোদীকে দুর্বল হতে দেবেন না। চিন আর পাকিস্তান তাঁকে ভয় পায়।’’
প্রতিবেশী চিন আর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপড়েনকে এমন খোলাখুলি ভোটের ময়দানে কাজে লাগানোর চেষ্টা ফের বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিজেপি বিরোধীরা বলছেন, অ-বিজেপি দলগুলিকে ভারতের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করছে দেশের শাসক দল। এমন রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা নজিরবিহীন। কিন্তু, মেরুকরণের চেষ্টায় মরিয়া বিজেপি সে সব কথায় এখন কান দিতে নারাজ। তাই অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করে সুশীল মোদীর টুইট, ‘‘বিহারে বিজেপি জিতলে ভারতে দিওয়ালি পালিত হবে। যদি ইউপিএ জেতে তা হলে পাকিস্তানে উৎসব হবে।’’