Surgical Strike

এত হইচইয়ের ব্যাপারই নয়, মুখ খুললেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ‘বস’

জেনারেল হুদার বক্তব্য,‘‘এ ধরনের সফল অভিযানের পর  আনন্দ হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু দিনের পর দিন এই বিষয়ে উন্মাদনা তৈরি করে যাওয়া অনভিপ্রেত। কৌশলগত কারণেই এই ধরনের অভিযানের বিষয় গোপন রাখা উচিত।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:০০
Share:

জেনারেল ডি এস হুদা। ফাইল চিত্র।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে দেশ জুড়ে যে হইচই হচ্ছে, তা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের বিষয় গোপন রাখাই বাঞ্ছনীয়। চণ্ডীগড়ে সেনা সাহিত্য উৎসবে বক্তৃতা করতেগিয়ে এমন মন্তব্যই করলেন প্রাক্তন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুদা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় তিনি নর্দার্ন কম্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন।

Advertisement

২০১৬-য় জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরের সেনা ছাউনিতেপাক সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৯ ভারতীয় জওয়ান। দু’সপ্তাহের মধ্যেইচরম প্রত্যাঘাত হেনেছিল ভারত। তখন নর্দার্ন কম্যান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুদা। পাল্টা সেই হামলার পরিকল্পনায় সিলমোহর দিয়েছিলেন তিনিই। তার পরেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সন্ত্রাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা।

এর পরেই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চলে আসে খবরের শিরোনামে। এই অভিযানের কৃতিত্ব নিতে তৎপর হয়ে ওঠেন দেশের রাজনীতিকরাও। চণ্ডীগড়ের সেনা সাহিত্য উৎসবে তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন একাধিক প্রাক্তনসেনাকর্তা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুদার বক্তব্য,‘‘এ ধরনের সফল অভিযানের পর আনন্দ হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু দিনের পর দিন এই বিষয়ে উন্মাদনা তৈরি করে যাওয়া অনভিপ্রেত। কৌশলগত কারণেই এই ধরনের অভিযানের বিষয় গোপন রাখা উচিত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় গজ-বিধ্বস্ত গ্রামে ঢুকতেই কাস্তে নিয়ে হামলা মন্ত্রীর উপর! তার পর…

সেনার কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন আর এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এন এস ব্রার-ও। তাঁর কথায়, ‘‘মনে রাখতে হবে, প্রতিপক্ষের ক্ষয়ক্ষতি করাই এই ধরনের অভিযানের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেওয়াই এই ধরনের অভিযানের আসল উদ্দেশ্য।’’এই প্রসঙ্গে তিনি সামনে আনেন, ইরাকের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে ইজরায়েলি কম্যান্ডোদের বিশেষ অভিযান চালানোর ঘটনাকে। একই সঙ্গে দেশের রাজনীতিকদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা,‘‘মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে দেশের সেনাবাহিনীর যদি কোনও ক্ষতি হয়, তার দায় নিতে হবে রাজনীতিকদেরই।’’

আরও পড়ুন: ফের ভারত-চিন যৌথ সেনা মহড়া

প্রাক্তন সেনাকর্তার এই মন্তব্য সামনে আসার পরই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন রাহুল গাঁধী।নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দেশের সেনাবাহিনীকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস সভাপতি।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement