Crime

মুম্বইয়ে তরুণী চিকিৎসক খুন হয়েছেন সহকর্মীদের হাতে? ময়নাতদন্তে ঘনাচ্ছে রহস্য

মুম্বইয়ের বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের চিকিৎসক পায়েল তদভির মৃত্যুতে ঘনাল রহস্য।ময়নাতদন্তের পরই উঠে এল প্রশ্নটা। পায়েল কি আদৌ আত্মহত্যা করেছেন?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ১৩:১৩
Share:

পায়েল তদভি।

মুম্বইয়ের বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের চিকিৎসক পায়েল তদভির মৃত্যুতে ঘনাল রহস্য। ময়নাতদন্তের পরই উঠে এল প্রশ্নটা। পায়েল কি আদৌ আত্মহত্যা করেছেন? না কি খুন করা হয়েছে তাঁকে? গলার চারপাশে ফাঁসের দাগ তো রয়েইছে, তবে সেই দাগ অত্যন্ত গভীর। ঘাড়েও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন।

Advertisement

জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েই বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক পায়েল তদভি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর মা। যদিও স্বামী সলমন অভিযোগ করেন, আত্মহত্যা করেননি পায়েল, খুন করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকে।

পায়েলের মৃত্যুর পর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ভক্তি মেহরকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই কাণ্ডে পরে গ্রেফতার করা হল মুম্বইয়ের অগ্রীপাড়ার আরও দুই চিকিৎসককে। ভক্তি ছাড়াও অন্য দুই চিকিৎসক হেমা আহুজা ও অঙ্কিতা খণ্ডেলওয়ালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় তিন জনকেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: অম্বানী থেকে বিল গেটস, শাহরুখ, কঙ্গনা...মোদীর শপথে থাকতে পারেন যাঁরা​

ময়নাতদন্ত বলছে, শরীরে ও ঘাড়ে আঁচড়ের দাগও রয়েছে, আর এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে খুন না আত্মহত্যার ঘটনা এটি? তদভির তরফে আইনজীবী বলেন, ‘‘ঘটনা থেকেই মনে হচ্ছে এটি খুন। ময়নাতদন্তের পর শরীরে আঘাতের দাগ মিলেছে, এটি সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে। খুনের তদন্ত ধরেই পুলিশের এগোনো উচিত এ ক্ষেত্রে।’’

আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের নোটিস খারিজ করা হোক, রাজীবকে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের​

পায়েলের পরিবারের কৌঁসুলি নিতিন সাতপুতে আদালতে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা পায়েলকে খুন করেছিল অন্যত্র। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে, যাতে কোনওরকম প্রমাণ না থাকে।’’ মুম্বইয়ের নগরদায়রা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আর এম সাদরানিকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়।

২২ মে পায়েলের আত্মঘাতী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। এর পরই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনও নোটিস পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের সামনে পায়েলের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তাঁর মা আবেদা ও স্বামী সলমন। পায়েলের মৃত্যুর প্রতিবাদে শামিল হয় ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাদি’ এবং আরও অনেক দলিত এবং আদিবাসী সংগঠন। তদভি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ।

পায়েলের মায়ের অভিযোগ, ‘‘পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় পায়েলকে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক।’’ রোগীদের সামনেও মেয়ের মুখে ফাইল ছুড়ে মেরেছেন তাঁরা, এমন অভিযোগও করেন তিনি। পায়েলের স্বামী সলমনের অভিযোগ ছিল, তিন চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীকে খুনও করে থাকতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন