লালুদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, দাবি জেটলির

প্রতিহিংসা নয়, প্রমাণ হাতে নিয়েই লালু-চিদম্বরমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগের মুখে আজ এই দাবি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:১৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রতিহিংসা নয়, প্রমাণ হাতে নিয়েই লালু-চিদম্বরমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগের মুখে আজ এই দাবি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি। সনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা থেকে মমতা-কেজরীবালের দলের নেতারা— বাদ যাননি অনেকেই। সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন লালু প্রসাদ ও তাঁর পরিবার এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তি। বিরোধীরা এক সুরেই বলছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে মোদী সরকার। সরকারে মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি আজ এই অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘প্রমাণ হাতে নিয়েই তদন্ত চলছে। কারণ, সব প্রমাণ আদালতে পেশ করতে হবে। আদালতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, এই তদন্ত রাজনৈতিক কারণে না কি প্রমাণের ভিত্তিতে। সংসদে বা গণমাধ্যমে সেটি স্থির হবে না।’’

সরকারের তিন বছরের সাফল্য তুলে ধরতে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জেটলি। সেখানেই এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তাঁর দাবি, যে কোনও সরকারি সংস্থার কাছে যখন প্রমাণ আসে, তখনই তারা পদক্ষেপ করে। আর যা যা পদক্ষেপ তারা করছে, সে সব কিছু আদালতের সামনেও পেশ করতে হয়। তাই তাদের উপরে দায়ও এসে যায়।

Advertisement

জেটলির মতে, দেশ থেকে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই মুহূর্তে একাধিক পদক্ষেপ এক সঙ্গে করছে। নোট বাতিলের সময় যাঁরা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন নগদ জমা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া চলছে। এর পাশাপাশি বেনামি সম্পত্তি আইনের আওতাতেও ধরপাকড় চলছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে আর যা যা প্রমাণ আসছে, তার ভিত্তেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনও পদক্ষেপই রাজনীতির ভিত্তিতে নয়।

তবে বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করতেও নারাজ মোদী সরকার। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী নিয়েও বিরোধীদের সঙ্গে ‘উপযুক্ত’ সময়ে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন জেটলি।

মোদী সরকারের সাফল্য ব্যাখ্যা করতে এসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এ দিন স্বীকার করে নেন, কর ও জরিমানা দিয়ে গত ডিসেম্বরে কালো টাকা ঘোষণা করার জন্য যে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’ চালু করা হয়েছিল, তাতে ভাল সাড়া মেলেনি। মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা এসেছে। সরকারের দাবি, যে হেতু তার আগে নোট বাতিল এবং আরও একটি একই রকম প্রকল্প ছিল, তাই এই তৃতীয় প্রকল্পে তেমন সাড়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন