‘পরিবারের’ সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটবে: দাত্তু

গুড ফাইড্রেতে বিচারপতিদের সম্মেলন করা নিয়ে যে ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে অখুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ এতে তাঁর নামও জড়িয়ে গিয়েছে। আজ বিচারপতিদের সম্মেলনে হাজির হলেও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি মোদী। কিন্তু বিতর্ক ধামাচাপা দিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু বলেছেন, এটা সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এটা খুব তাড়াতাড়িই মিটিয়ে ফেলা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৯
Share:

এক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

গুড ফাইড্রেতে বিচারপতিদের সম্মেলন করা নিয়ে যে ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে অখুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ এতে তাঁর নামও জড়িয়ে গিয়েছে। আজ বিচারপতিদের সম্মেলনে হাজির হলেও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি মোদী। কিন্তু বিতর্ক ধামাচাপা দিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু বলেছেন, এটা সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এটা খুব তাড়াতাড়িই মিটিয়ে ফেলা হবে।

Advertisement

গুড ফাইড্রের দিনটি সম্মেলনের জন্য বাছায় প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে আপত্তি জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ। কাল জোসেফ প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ বয়কট করেন। মোদীকে চিঠি লিখেও সে কথা জানান তিনি। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করেনি। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মোদী সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা গিয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীকেও এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিচারপতিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নৈশভোজেরও আয়োজন করেন। এর ফলে ধারণা তৈরি হয়েছে, মোদী সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উৎসবকে গুরুত্ব দেয় না।

আজ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আসরে নামেন দাত্তু। যুক্তি দিয়েছেন, এটা সম্মেলন ছিল না। বিচারপতিদের মত আদানপ্রদানের জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের সব থেকে প্রবীণ দুই বিচারপতির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল। অন্যদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল না। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এ সব নিয়ে বিতর্ক দুর্ভাগ্যজনক। তবে এটা পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। আমি পরিবারের প্রধান হিসেবে এই সমস্যা মিটিয়ে নেব।’’

Advertisement

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উৎসব নিয়ে গত বছরও বিতর্ক হয়েছিল। বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বরকে বাজপেয়ীর জন্মদিন ‘সুশাসন দিবস’ হিসেবে পালন করার চেষ্টা হয়েছিল। যা নিয়ে তখন খ্রিস্টানদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন