স্থায়ী উন্নয়নে পিছিয়ে বঙ্গ: সিএজি রিপোর্ট

২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে স্থায়ী উন্নয়নের জন্য ১৭টি লক্ষ্য স্থির করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

স্বাস্থ্য-সহ স্থায়ী উন্নয়নের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রায় পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে থাকার ছবি সামনে এল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) রিপোর্টে। সংসদে আজ এই রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছে।

Advertisement

২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে স্থায়ী উন্নয়নের জন্য ১৭টি লক্ষ্য স্থির করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গরিবি দূর করা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিবেশের রক্ষণাবেক্ষণ, শান্তি প্রতিষ্ঠা-সহ কী ভাবে সর্বস্তরে সমৃদ্ধি নিয়ে আসা যায়, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে দেশগুলিকে। ভারতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের বিষয়ে সমন্বয়, এবং তদারকি করছে নীতি আয়োগের মতো সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা রূপায়ণ মন্ত্রক। এ ব্যাপারে গোটা ভারত, বিশেষ করে অসম, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা, কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্যের প্রস্তুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে সিএজি। সেখানেই ফুটে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তুতিহীনতার ছবি।

সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে পশ্চিমবঙ্গে ৮টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হলেও এখনও সে ভাবে কাজ শুরু হয়নি। স্থায়ী উন্নয়নের জন্য কী করা হবে, কী রণকৌশল নেওয়া হবে, কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে— পশ্চিমবঙ্গে গোটা বিষয়টিই এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। এমনকি, এ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। উত্তরপ্রদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের বাজেটেও সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য প্রতিফলিত হয়নি। এ জন্য চেষ্টাও করেনি এই রাজ্য সরকারগুলি। স্থায়ী উন্নয়নের জন্য নজরদারির কাজও এগোয়নি।

Advertisement

রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, সেখানেও বলা হয়েছে, জনসংখ্যার নিরিখে রাজ্যে ৩০৪৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রয়োজন। রয়েছে ৯১৪টি। অর্থাৎ রাজ্যে আরও ২১৩২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রয়োজন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রকল্প রয়েছে ঠিকই, তবে স্থায়ী উন্নয়নের পরিকল্পনার সঙ্গে একে জোড়া হয়নি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন