কীসের অসহিষ্ণুতা?
দেশে কোথাও অসহিষ্ণুতার কোনও ঘটনা ঘটেছে নাকি?
সব ঠিক হ্যায়!
কলবার্গির হত্যা, দাদরির ঘটনা-এত কিছুর পর আজ এই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
তাঁর কথায়, ‘‘কোথায় অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেয়েছে? এ দেশে কোনও দিনই অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়নি। পাবেও না কোনও দিন।’’
এখানেই থেমে থাকেননি জেটলি। তাঁর মনে হয়েছে, ‘‘দেশজুড়ে বিরাজ করছে অখণ্ড শান্তি আর সংহতির পরিবেশ। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। আর তার থেকে বিভ্রান্তি জন্ম নিতে পারে। কিন্তু সেটাকে কোনও ইস্যু বানিয়ে তোলাটা ঠিক নয়। এ দেশে গণতন্ত্র রয়েছে সকলের জন্য। তা দীর্ঘ দিন ধরেই কায়েম রয়েছে। শুধুই কিছু রটিয়ে তা বদলানো যাবে না।’’
এ দিকে দেশে অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যায় সংসদ ভবন থেকে সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতা ও সাংসদরা মিছিল করে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিতে। তবে মাত্র ১২৫ জন কংগ্রেস নেতা ও সাংসদকে আজ মিছিল করে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ ব্যাপারে একান্তে কথাও বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে কংগ্রেসের মিছিল। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
সম্ভবত সেটা মাথায় রেখেই, কন্নড় যুক্তিবাদী কলবার্গির খুনের ঘটনাটি এর পর মনে পড়ে গিয়েছে জেটলির! দাদরির কথার বিন্দুমাত্র উল্লেখ না করে জেটলি বলেছেন, ‘‘অসহিষ্ণুতার যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে তা ঘটেছে কর্নাটকে। যে রাজ্যটা কংগ্রেস চালাচ্ছে। সেটাকে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করাটা ঠিক নয়।’’