গাড়ির বাইরে বসে রয়েছেন প্রবীণ মিত্তল। ঘটনার রাতে (সোমবার)। ফাইল চিত্র।
এটি নিছকই আত্মহত্যা, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, হরিয়ানার মিত্তল পরিবারের সাত জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। রহস্য আরও বাড়িয়েছে গাড়ি থেকে উদ্ধার দু’টি সুইসাইড নোট। সেই নোটে হাতের লেখা কার, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে আর্থিক চাপ, দেনার কারণে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু মিত্তলদের এই পরিণতির নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
সুইসাইড নোটে হাতের লেখা এবং স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখতে মিত্তলদের ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কী ধরনের সই রয়েছে, তা মিলিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর। প্রবীণ মিত্তলের সই রয়েছে, ব্যাঙ্কের এমন নথি যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে ওই সূত্রের দাবি। যদিও ব্যাঙ্কের তরফে সে রকম কোনও নথি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। ফলে হাতের লেখার ফরেন্সিক পরীক্ষাতেও দেরি হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারী এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সইয়ের নমুনা পাওয়ার জন্য যা করার তা-ই করা হচ্ছে। সেই নমুনা পেলেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি থেকে যে দু’টি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে একটিতে লেখা সম্পূর্ণ করা হয়নি। মাঝপথেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই লেখাতে কাটাকুটি এবং কিছু সংশোধন করার চেষ্টা হয়েছিল। তা থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, লেখাটি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি প্রবীণ। তাই কাটাকুটি এবং সংশোধনের চেষ্টার ছবি ধরা পড়েছে সেই লেখায়। তবে দ্বিতীয় লেখাটি সম্পূর্ণ এবং পরিষ্কার ভাবে লেখা। দু’টি নোটের শেষে সই করা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই সই প্রবীণের কি না, এখন সেটাই দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার হরিয়ানার পঞ্চকুলার সেক্টর ২৭-এ গাড়ির ভিতর থেকে মিত্তল পরিবারের ছয় সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। আর এক সদস্য প্রবীণের মৃত্যু হয় গাড়ির বাইরে। সন্দেহ করা হচ্ছে, বিষাক্ত কিছু খেয়েছিলেন তাঁরা সকলে।