শনিবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
পুরো উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শীতে কাঁপছে দিল্লি। শুক্রবার রাজধানী-সহ বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের মতে, এই শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকটা দিন চলবে।
এ দিন উত্তরপ্রদেশের বারাণসী, ফৈজাবাদ, ইলাহাবাদ, লখনউ, বরেলী, মেরঠ, গোরক্ষপুর আর আগরায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম ছিল। তবে সব চেয়ে ঠান্ডা ছিল মুজফ্ফরনগরে। শুক্রবার রাতে সেখানে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মোরাদাবাদে দিনের তাপমাত্রা ছিল অনেকটাই কম। সকালের দিকে রাজ্য জুড়ে কমবেশি কুয়াশা দেখা গিয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানেও এ দিন থার্মোমিটারের পারদ অনেকটা নেমেছে। এই দুই রাজ্যে বেশির ভাগ জায়গায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। অমৃতসরে এবং লুধিয়ানায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩.৩ ডিগ্রি ও ৩.৫ ডিগ্রি। শীতের আবহে আগামী ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে হরিয়ানা সরকার।
শুক্রবার ছিল চিল্লাই-কালানের দ্বিতীয় দিন। জম্মু-কাশ্মীরে হাড়কাঁপানো শীতের মরসুমের ৪০টা দিন এই নামেই পরিচিত। এ দিন লাদাখের লে উপত্যকায় রাতের উষ্ণতা মাইনাস ১৫.৮ ডিগ্রিতে নেমে যায়। আবহবিদরা জানান, লে-র শীতলতম রাত ছিল শুক্রবার।
আরও পড়ুন: রাজীব-অস্বস্তি ঢাকতে মরিয়া কেজরীর দল
শীতে কাবু রাজধানীও। শনিবার সকালে দিল্লির তাপমাত্রা আরও এক বার ৪ ডিগ্রি ছুঁয়ে দাঁড়ায় ৪.৭ ডিগ্রিতে। গত তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। শেষ চার বছরে এটাই দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। প্রবল ঠান্ডার পাশাপাশি ঘন কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। ঘন ধোঁয়াশার জেরে দূষণও ছিল লাগামছাড়া। দূষণ ও কুয়াশার জোড়া ধাক্কায় এ দিন বেশ কিছু জায়গায় রেল ও সড়কপথে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। তবে ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন পথবাসীরা। তাঁরা ভিড় করছেন ‘নাইট শেল্টার’গুলিতে। গৃহহীনদের জন্য এই ধর্মশালাগুলি চালায় দিল্লি সরকার। শহর জুড়ে ২৪৮টি আশ্রয় রয়েছে। প্রতিটিতে ৬০ জন থাকতে পারেন। শনিবার বেলা বাড়লে রাজধানীর আকাশ পরিষ্কার হয়। শনিবারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে বলেই জানায় আবহাওয়া দফতর।