Haryana

কৃতী ছাত্রীকে ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই হরিয়ানায় ফের লালসার শিকার মহিলা

সোমবার জিন্দ থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। পরে তা স্থানীয় মহিলা থানায় পাঠানো হয়। সেখানেই মামলা দায়ের হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রেওয়ারি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৩৫
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

এক সপ্তাহের মধ্যে দু’-দু’টি ধর্ষণের ঘটনা। তাতে প্রশ্নের মুখে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ বার গণ ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন এক বিধবা মহিলা। ২ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।

Advertisement

সোমবার জিন্দ থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। পরে তা স্থানীয় মহিলা থানায় পাঠানো হয়। সেখানেই মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারিণী জানান, তিনি রেওয়ারি জেলার কোসলি শহরের বাসিন্দা। ওষুধ কিনতে জিন্দে এসেছিলেন। তবে দোকানে পৌঁছতে পারেননি। তার আগে রাস্তায় তাঁর সঙ্গে যেচে আলাপ করে দুই বাইক আরোহী। শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেয়।

তাদের সবকিছু জানান ওই মহিলা। ওই যুবকেরা তাঁকে বিকল্প চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। এ-ও জানায়, তাদের জানাশোনা একটি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। সেখানে তাঁকে নিয়ে যেতে পারে। নিজেদের জিন্দের জুলানা পুরসভার পোলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানায় তারা। তাতে আশ্বস্ত হন ওই মহিলা এবং তাদের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু একটি ফাঁকা মাঠের সামনে বাইক দাঁড়ালে ভুল বুঝতে পারেন তিনি। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন। টানতে টানতে তাঁকে মাঠে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তার পর ধর্ষণ করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাস্তার ধার থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার মার্কিন মহিলা

জিন্দের মহিলা থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে এখনও নাগাল মেলেনি। খোঁজ চলছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৬-ডি (গণধর্ষণ), ৩৬৬ (অপহরণ), এবং ৩৪ (একাধিক লোক মিলে ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধ ঘটানো) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

তবে মামলা দায়ের হলেও, পর পর ধর্ষণ এবং নারী নিগ্রহের ঘটনায় মুখ পুড়েছে বিজেপির মনোহরলাল খট্টর সরকারের। গত বুধবারই টিউশন যাওয়ার পথে মহেন্দ্রগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে অপহৃত হয় রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার প্রাপ্ত ১৯ বছরের এক কলেজ পড়ুয়া। অপহরণকারীরা তাকে নির্জন চাষের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে টিউবওয়েলের পাশে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করে। অভিযুক্তদের একজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত।

আরও পড়ুন: দলিত যুবক খুনে নাম জড়াল প্রাক্তন নেতার​

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। গ্রেফতার হয়েছে তিন জন। বদলি হয়েছেন রেওয়ারির পুলিশ সুপার রাজেশ দুগ্গল। তাঁর জায়গায় এসেছেন রাহুল শর্মা। তবে ভেঙে পড়েছে নির্যাতিতার পরিবার। রেওয়ারির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মেয়েটির। তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে মেয়েটির পরিবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন