আত্মঘাতী পুলিশকর্তা ওয়াই পূরণ কুমার। ফাইল চিত্র।
হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (এডিজি) ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যুতে দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তাঁর স্ত্রী অমনীত পি কুমার। রাজ্য পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ সিংহ কপূর এবং রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়ার বিরুদ্ধে ডিজি পূরণ কুমারকে মানসিক হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন অমনীত। শুধু তা-ই নয়, এই দুই পুলিশকর্তার দ্রুত গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন আত্মঘাতী এডিজি-র স্ত্রী।
অমনীত নিজে একজন আমলা। তিনি হরিয়ানার বিদেশ দফতরের কমিশনার এবং সচিব পদে কর্মরত। অমনীতের দাবি, দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে জনজাতি আইনে মামলা রুজু করা হোক। একজন পুলিশকর্তার স্ত্রী হিসাবে নন, গোটা পুলিশ প্রশাসনের তরফে অমনীত আবেদন জানিয়েছেন যে, তাঁর স্বামীর মতো কিছু সৎ পুলিশ আধিকারিক ‘সিস্টেম’-এর বলি হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার পরিবারের হয়ে নয়, সমস্ত সৎ পুলিশ অফিসারের জীবনের মূল্যবোধ এবং মর্যাদার কথা ভেবেই আমার এই আবেদন।’’
অভিযোগপত্রে অমনীত বলেন, ‘‘আমার স্বামীর মৃত্যুকে একটি সাধারণ আত্মহত্যা বলে দাগিয়ে দেওয়া ভুল হবে। ওর মৃত্যু পুলিশ প্রশাসনের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থার ফল। নিজেদের ক্ষমতার জোরে দিনের পর পর দিন আমার স্বামীকে হেনস্থা করে গিয়েছেন ঊর্ধ্বতনেরা। পূরণের আর পথ খোলা ছিল না। তাই নিজের জীবন এ ভাবে কেড়ে নিল।’’ মঙ্গলবার সকালে চণ্ডীগড়ের বাড়ি থেকে এডিজি পূরণ কুমারের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন এডিজি। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্য পুলিশমহলে হুলস্থুল পড়ে যায়। ঘর থেকে আট পাতার একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে ১০ জন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন পূরণ কুমার।