Pahalgam Terror Attack

‘আমার স্বামীকে গুলি করার পরে ওরা হাসছিল’! এখনও আতঙ্কিত নিহত শৈলেশের স্ত্রী শীতলবেন

গুজরাতের সুরত থেকে পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন শৈলেশ, শীতলবেন, তাঁদের পুত্র নক্ষ এবং কন্যা নীতি। বুধবারই শৈলেশের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে সুরতে ফিরেছেন বাকিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০৯
Share:

বৃহস্পতিবার সুরতে শৈলেশ কলথিয়ার শেষকৃত্যে তাঁর পরিজনেরা। ছবি: পিটিআই।

পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পরে উচ্চস্বরে হাসছিল জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে কোনও অনুশোচনা ছিল না। এমনটাই জানিয়েছেন শীতলবেন কলথিয়া। চোখের সামনেই তাঁর স্বামী শৈলেশ কলথিয়াকে মঙ্গলবার গুলি করে জঙ্গিরা। এখনও চোখ বুজলে সেই গুলির শব্দ, জঙ্গিদের হাসি কানে বাজছে শীতলবেনের। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

গুজরাতের সুরত থেকে পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন শৈলেশ, শীতলবেন, তাঁদের পুত্র নক্ষ এবং কন্যা নীতি। বুধবারই শৈলেশের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে সুরতে ফিরেছেন বাকিরা। বৃহস্পতিবার শেষকৃত্য হয়েছে তাঁর। পহেলগাঁও কাণ্ডে গুজরাতের আরও দুই পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। ভাবনগরের যতীশ পারমার এবং তাঁর পুত্র স্মিত পারমার।

বৃহস্পতিবার সকালে সুরতের বাড়ি থেকে শৈলেশের দেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন শ্মশানের উদ্দেশে রওনা হতেই ভেঙে পড়েন শীতলবেন। তিনি বলেন, ‘‘এক জঙ্গি আমাদের দিকে ধেয়ে আসে। আমার স্বামী হিন্দু জানার পরে তাঁকে গুলি করে খুন করে। আমার স্বামীর মতো আরও অনেক হিন্দু ব্যক্তিকে তাঁদের সন্তানের সামনেই গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। আমার স্বামীকে খুন করার পরে ওরা হাসছিল। যত ক্ষণ না ওঁর প্রাণটা চলে গিয়েছে, তত ক্ষণ ওখানেই দাঁড়িয়েছিল।’’

Advertisement

শৈলেশের ছেলে নক্ষ বলেন, ‘‘গুলি শব্দ শোনার পরেই সকলে ছুটে শুরু করি। যদি কোথাও লুকিয়ে পড়া যায়! দু’জন জঙ্গি এসে জানতে চায়, আমাদের ধর্ম কী। ওরা ওখানে উপস্থিত পুরুষদের হিন্দু এবং মুসলিম— এই দুই ভাগে ভাগ করে দাঁড় করায়। তার পরে হিন্দুদের গুলি করে খুন করে।’’ নক্ষ জানিয়েছিলেন, তিনি যে রেয়াত পাবেন, ভাবতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তাঁকেও হয়তো প্রাণ দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রাণে বেঁচেছেন। এখনও যেন বিশ্বাসই করে উঠতে পারছেন না নক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement