প্রতীকী ছবি।
দিল্লির স্কুলপড়ুয়া শৌর্য পাটিলের মৃত্যুতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সম্প্রতি দীপশিখা নামে এক অভিভাবক দাবি করেছেন যে, গত ১৮ নভেম্বর তিনি যে অটোরিকশায় উঠেছিলেন তাতেই উঠেছিল দশম শ্রেণির পড়ুয়া শৌর্য।
দীপশিখার দাবি, হঠাৎ ছুটতে ছুটতে এসে অটোতে উঠেছিল ওই পড়ুয়া। ওই একই স্কুলে পড়ে তাঁর সন্তান। মহিলা বলেন, ‘‘আমি প্রতি দিনই অটোতে করে ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে যাই। ১৮ নভেম্বরও গিয়েছিলাম। স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি ছেলে ছুটতে ছুটতে এসে অটোতে উঠে পড়ল। তার পরই চালককে বলল, দ্রুত চালাও দাদা।’’
দীপশিখার দাবি, ছেলেটিকে দেখে খুব বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন লাগছিল। তার চোখ-মুখে একটা আতঙ্কের ছাপ লক্ষ করেছিলেন। তখনই ওই পড়ুয়াকে দীপশিখা জিজ্ঞাসা করেন, কোনও সমস্যা হয়েছে কি না। এ কথা শুনে শৌর্য দীপশিখাকে বলে, ‘‘আপনার ছেলেকে এই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।’’ তার পরই বলে, ‘‘আমার বোর্ডের পরীক্ষা আসছে। শিক্ষকেরা আমার উপর খুব অত্যাচার করছে। কী পরিমাণ অত্যাচার ভাষায় ব্যখ্যা করতে পারব না। আমার বাবা-মাকে বার বার স্কুলে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।’’ দীপশিখার দাবি, ছেলেটির মধ্যে কেমন যেন একটা অস্বাভাবিকতা কাজ করছিল। তার পরই তিনি জানতে পারেন ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর শৌর্যের দেহ উদ্ধার হয় দিল্লির রাজেন্দ্রনগর প্লেস মেট্রো স্টেশনে। ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল সে। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয় তার ব্যাগ থেকে। সেখানে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।