National News

আধার কার্ড না দেখালে কল গার্ল মিলছে না গোয়ায়!

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, হালে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে দিল্লির ৫ যুবকের। দিল্লি থেকে তারা গিয়েছিল গোয়ায়। যাওয়ার সময় তাদের হাতে ছিল এক ‘দালাল’-এর টেলিফোন নম্বর। গোয়ায় পৌঁছেই তারা টেলিফোন করে ওই ‘দালাল’কে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পানাজি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কল গার্ল পাওয়ার জন্যেও এখন লাগছে আধার কার্ড। ‘দালাল’দের আধার কার্ডের জেরক্স পাঠাতে হচ্ছে হোয়াটস্অ্যাপে।

Advertisement

শুধুই যে মোবাইল সংস্থা আর ব্যাঙ্ক বা এলআইসি আমার, আপনার কাছে আধার কার্ডের নম্বর জানতে চাইছে তা নয়, গোয়ায় তা দেখতে, জানতে চাইছে কল গার্লদের ‘দালাল’রাও!

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, হালে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে দিল্লির ৫ যুবকের। দিল্লি থেকে তারা গিয়েছিল গোয়ায়। যাওয়ার সময় তাদের হাতে ছিল এক ‘দালাল’-এর টেলিফোন নম্বর। গোয়ায় পৌঁছেই তারা টেলিফোন করে ওই ‘দালাল’কে। ৫ জন কল গার্ল চায়। ‘দালাল’ তখন তাদের জানায়, কিছু ক্ষণ পরে তাদের টেলিফোন নম্বরে ফোন করে জানাচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষণ পর টেলিফোন আসে ওই ‘দালাল’-এর। সে দিল্লি থেকে আসা যুবকদের আধার কার্ডের জেরক্স হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলে। তারা গোয়ায় যে হোটেলে উঠেছে, তার ছবি আর যে যে রুমে তারা রয়েছে, সেই রুমগুলির চাবিরও ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলে। বলে দেয়, যেন সেই চাবির ছবিতে হোটেলের লোগো থাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন- ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারামের পায়ে পড়লেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি​

আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতিই সার, আজও নিরাপদ নয় মেয়েরা: নির্ভয়ার মা​

যুবকরা তাতে রাজি হলে সেই ‘দালাল’ তাদের হোটেলের আশপাশের এলাকা সম্পর্কে আরও খুঁটিনাটি জানতে চায়। কেন এত কিছুর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে সেই ‘দালাল’ যুবকদের বলে, তারা সত্যি সত্যিই দিল্লি থেকে আসা খদ্দের নাকি পুলিশের ‘চর’, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই এত সব জানতে চাওয়া হচ্ছে।

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র ওয়েবসাইটের প্রতিনিধিকে গোয়ার এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘‘এত কিছুর পরেও ৫ যুবকের জন্য দু’জন কল গার্ল পাঠিয়েছিল ‘দালাল’টি। কারণ, কোনও ভাবে একই জায়গায় গিয়ে এক সঙ্গে ৫ জন কল গার্ল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলে ওদের সারা মাসের ব্যবসাটাই মার খাবে।’’

গোয়ায় পুলিশ সম্প্রতি এই চক্রের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে অভিযান শুরু করেছে।

গোয়ার পুলিশই জানিয়েছে, হালে খদ্দেরদের খুব ঠকাতে শুরু করেছে ‘দালাল’রা। এর আগে এক খদ্দেরের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে তাকে একটি হোটেলের যে রুম নম্বর দেওয়া হয়, সেই ঘরে গিয়ে খদ্দের হাজার বার ধাক্কাধাক্কির পরেও কেউ দরজা খোলেনি। কিছু ক্ষণ পর হোটেলের পাশের ঘরের লোকজন বেরিয়ে এসে তাঁদের বিরক্তি প্রকাশ করলে ওই খদ্দের সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়।

পুলিশের অনুমান, খদ্দেরকে হঠাতে হোটেলের পাশের ঘরের লোকজনদেরও ব্যবহার করেছিল কল গার্লদের ‘দালাল’রা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন