গাড়ি ছুটিয়ে ধর্ষণ চলল পালা করে

পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, গত কাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গুরুগ্রামের সোহনা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে জোর করে তোলে ৩ দুষ্কৃতী। এর পর সারা রাত ধরে তাঁকে পালা করে ধর্ষণ করে তারা। সেই অবস্থাতেই দিল্লি পেরোয় গাড়িতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক মাসের মাথায় ফের গুরুগ্রামে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের অভিযোগ। বছর পঁয়ত্রিশের এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে টানা সাত-আট ঘণ্টা ধর্ষণ করে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ধর্ষণ চলাকালীন গুরুগ্রাম থেকে দিল্লি পেরিয়ে গ্রেটার নয়ডার দিকে গাড়ি ছুটিয়ে দেয় গাড়ির চালক। পরে ভোরের দিকে অন্ধকার জায়গা দেখে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে যায় তাঁকে। এক মাস আগে এই গুরুগ্রামেরই মানেসর এলাকায় চলন্ত অটোতে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে অটোচালক ও তার দুই সঙ্গী। ভয় পেয়ে তাঁর কোলের সন্তান কেঁদে উঠলে ন’মাসের শিশুটিকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দেয় তারা। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

Advertisement

পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, গত কাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গুরুগ্রামের সোহনা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে জোর করে তোলে ৩ দুষ্কৃতী। এর পর সারা রাত ধরে তাঁকে পালা করে ধর্ষণ করে তারা। সেই অবস্থাতেই দিল্লি পেরোয় গাড়িতে। ভোরের দিকে সুযোগ বুঝে গ্রেটার নয়ডায় একটি অন্ধকার জায়গায় তাঁকে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়, পুলিশকে জানালে খুন করে ফেলবে। বিধ্বস্ত অবস্থায় পথে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় তাঁকে নিয়ে যান। পুলিশ তাঁর বয়ান রেকর্ড করে। পরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। দিন ১০-১৫ আগেই কাজের সূত্রে রাজস্থানের ভরতপুর থেকে সোহরায় এসেছিলেন ওই তরুণী। সেখানে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে ওই মহিলাকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, সেখান থেকে বেশ করেকটি মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ধর্ষণের সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল তিন জন। এখনও তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। রাজধানী সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। তবে ২০১২-য় নির্ভয়া কাণ্ডের পরে একের পর এক ধর্ষণ-খুনের ঘটনাতেও হুঁশ ফেরেনি পুলিশ-প্রশাসনের। আজও গ্রেটার নয়ডায় ১০০ নম্বর লেখা গাড়িতে বসে পুলিশকে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে দেখা গিয়েছে। সে ভিডিও এখন ভাইরাল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন