Bengaluru Crime

দুই সন্তানের মাথা জলে ডুবিয়ে ধরে খুন, পরে আত্মহত্যা করতে গেলেন দম্পতি, বেঁচে গেলেন এক জন‍!

কর্নাটকের বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলায় এক দম্পতি সন্তানদের মেরে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যু হলেও স্ত্রী মরতে পারেননি। তিনি বেঁচে গিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৮
Share:

বেঙ্গালুরুর একটি গ্রামে সন্তানদের খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা দম্পতির। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন দম্পতি। তার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করতে উদ্যত হলেন। সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছিল বটে। বাদ সাধল শেষটুকু। স্বামীর মৃত্যু হলেও মরতে পারলেন না স্ত্রী। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল।

Advertisement

কর্নাটকের বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার গোনাকানাহল্লি গ্রামের ঘটনা। নিহত যুবকের নাম শিবু (৩২)। স্ত্রী মঞ্জুলার সঙ্গে সাংসারিক নানা কারণে তাঁর ঝামেলা হত। তাঁদের দুই সন্তানের বয়স ছিল যথাক্রমে ৭ এবং ১১ বছর। দম্পতি সন্তানদের খুন করে নিজেরা আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী দুই সন্তানকে গলা টিপে মারেন। পরে তাদের মাথা জলে ডুবিয়ে ধরে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এর পর যুবক নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, নানা কারণে ঝগড়া হত ওই দম্পতির। কয়েক বছর আগে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে যুবক বাড়িতেই থাকতেন। স্ত্রীকে নানা কারণে সন্দেহ করতেন। সেই সঙ্গে অনটন হয়ে উঠেছিল তাঁদের সংসারের নিত্যসঙ্গী। এই সমস্ত কারণে দম্পতি সপরিবার মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন বেলা ২টো নাগাদ স্বামী-স্ত্রী প্রচুর পরিমাণে মদ খেয়ে নেন। তার পর প্রথমে ১১ বছরের কন্যা এবং পরে সাত বছরের পুত্রকে খুন করেন। ধৃতের বয়ান অনুযায়ী, এর পর ওই মহিলা গলায় দড়ি দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে দোকান থেকে কিছু খাবার কিনে এনে দিতে অনুরোধ করেন। ফলে মহিলা দোকানে যান। ফিরে এসে দেখেন, যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন।

Advertisement

স্বামী, সন্তানদের মৃতদেহের সামনে বসে নিজের বাবার সঙ্গে শেষ বার কথা বলার ইচ্ছা হয়েছিল মহিলার। বাড়িতে কোনও মোবাইল থেকে ফোন করতে না পেরে তিনি বাবাকে ফোন করার জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। সেখানে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায় এবং খবর যায় থানায়। মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, আদৌ তিনি সব সত্যি কথা বলছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement