প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণে বাধা দিয়েছিলেন মহিলা। তার জেরে তাঁকে কাস্তে দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় মহিলা দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ নভেম্বর মাঠে ঘাস কাটছিলেন মহিলা। সেই সময় সেখানে নবম শ্রেণির ওই ছাত্র আসে। অভিযোগ, মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে সে। কিন্তু তিনি বাধা দেওয়ায় কাস্তে নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রটি। মহিলার শরীরের একাধিক জায়গায় কোপ বসিয়ে দেয় সে। শুধু তা-ই নয়, মহিলাকে লাঠি দিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় মহিলাকে চণ্ডীগড়ে স্থানান্তরিত করা হয়। দু’দিন চিকিৎসা চলার পর ৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। যেখানে মহিলার উপর হামলা চালানো হয়েছিল, সেই জায়গা থেকে একটি কাস্তে, লাঠি, ভাঙা স্কেল এবং পেন উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ছাত্রটি হামলার কথা স্বীকার করেছে। তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার একটি প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে। হামিরপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছাত্রটিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।