ফরিদাবাদকাণ্ডে ধৃত চিকিৎসক মুজ়াম্মিল শাকিলের সহযোগী মহিলা চিকিৎসক শাহিনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
ধৃত চিকিৎসক মুজ়াম্মিল শাকিলের সহযোগী ছিলেন তিনি। নিজেও চিকিৎসক বটে। শুধু চিকিৎসার কাজে নয়, মুজ়াম্মিলকে সন্ত্রাসের কাজেও সহযোগিতা করতেন ওই মহিলা চিকিৎসক? তাঁর গাড়ির ভিতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পরই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর লখনউ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদে এক ভাড়াবাড়িতে সোমবার হানা দেয় রিয়ানা এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। উদ্ধার করা হয় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। ২০টি বোমার টাইমার, রিমোট এবং ওয়াকিটকিও ছিল ওই বিস্ফোরকের সঙ্গে। সেই ভাড়াবাড়িতে থাকতেন মুজ়াম্মিল। তদন্তে নেমে নজরে আসেন তাঁর সহযোগী চিকিৎসক শাহিন। তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, কাশ্মীরে নাশকতার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি একটি বিশেষ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে তৈরি হত নাশকতার ছক। দিনকয়েক আগে এই মামলার তদন্তে নেমে কাশ্মীর পুলিশ শ্রীনগরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটার অভিযোগে চিকিৎসক আদিল আহমেদ র্যাদারকে গ্রেফতার করে। তাঁর সূত্র ধরেই মুজ়াম্মিলের হদিস পান তদন্তকারীরা। জেরায় প্রকাশ্যে আসে ফরিদাবাদের বিস্ফোরকের খবর।
ফরিদাবাদে বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন আদিলই। আর তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন মুজ়াম্মিল। পুলওয়ামার বাসিন্দা হলেও তিনি ফরিদাবাদের একটি হাসপাতালে কর্মরত। সেই হাসপাতালেই তাঁর সহযোগী ছিলেন চিকিৎসক শাহিন। সোমবারের বিস্ফোরক উদ্ধারের পর কাশ্মীর পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানায়, এর সঙ্গে জইশ জঙ্গিদের যোগ রয়েছে। এ ছাড়া, আনসার ঘাজ়ওয়াত-উল-হিন্দ নামের আর এক পাকিস্তানি গোষ্ঠীর খোঁজও মিলেছে।