—প্রতীকী চিত্র।
জ্বরে নেতিয়ে পড়েছিল একেবারে। কিছুই খেতে চাইছিল না। ছ’মাসের ছেলেটাকে সালেমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেই জানা গেল ওর ডেঙ্গি হয়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল তামিলনাড়ুর নমক্কল জেলার বেলুকুরুচু-র দরিদ্র দম্পতির। পেশায় ক্ষৌরকার পেরিয়াসামি ও তাঁর স্ত্রী আনবুকোদি ভেবে উঠতে পারছিলেন না কী ভাবে ছেলের চিকিত্সার খরচ জোগাড় করবেন। স্ত্রীকে ভরসা জোগানোর চেষ্টা করেন পেরিয়াসামি। কিন্তু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের বাস্তব পরিস্থিতিটা আন্দাজ করতে পেরে স্বামীর কথায় আশ্বাস্ত হতে পারেননি আনবুকোদি। তাই ছ’মাসের ছেলে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
আরও পড়ুন:
থ্রি ইডিয়টস্-এর কায়দায় অস্ত্রোপচারের চেষ্টা তিন নার্সের, মৃত্যু সদ্যোজাতর
১০১ টি গাছের চারা পুঁতে মেয়ের নামকরণ উদ্যাপন করলেন এই যুগল
টাইম্স অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত রবিবার থেকে জ্বর হয় শিশুটির। সোমবার সালেমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পেরিয়াসামি জানতে পারেন ছেলের ডেঙ্গি হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, চিকিত্সার খরচ দিনে প্রায় ৪ হাজার টাকা। চিকিত্সার খরচ শোনার পরই ভেঙে পড়েন আনবুকোদি। পেরিয়াসামি বলেন, “এ দিন রাত ১১টা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। স্ত্রী খুব ভেঙে পড়েছিল। ওঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি।” এর পর রাত ৩টে নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন পেরিয়াসামি। ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন স্ত্রী আর ছেলে ঘরে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির সামনের কুয়োয় আনবুকোদি আর তাঁর ছ’মাসের ছেলের দেহ দেখতে পান তিনি। স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পেরিয়াসামি-আনবুকোদির একটি ন’বছরের মেয়েও রয়েছে।