Assam Murder Case

স্বামীকে মেরে বললেন: হার্ট অ্যাটাক! খুন করতে বন্ধুদের নিয়ে মায়ের সঙ্গী স্কুলছাত্রী কন্যাও

গত ২৫ জুলাই অসমের জামিরার বাসিন্দা উত্তম গগৈকে তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। উত্তমের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী এবং কন্যা। তাঁরা উত্তমের মৃত্যুসংবাদ দেন পরিচিতদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ১৬:২৫
Share:

(বাঁ দিকে) উত্তম গগৈ। (ডান দিকে) বেবি সোনওয়াল গগৈ। ছবি: সংগৃহীত।

‘‘ভালই তো ছিল। কিচ্ছু বুঝতে পারিনি। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হল। তার পর সব শেষ।’’ সমস্ত আত্মীয় পরিজনকে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ দেওয়ার সময় কাঁদতে কাঁদতে একই বাক্য বলছিলেন ববি সোনায়াল গগৈ। কিন্তু পুলিশ আসতেই বদলে গেল বয়ান। আমতা আমতা করে এক বার জানান, শেষ রাতে বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। তার পর বুকে হাত দিয়ে বসে পড়েন স্বামী এবং সব শেষ। কোনও নাটকই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি পুলিশের। শেষমেশ স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মহিলাকে। আটক করা হল মৃতের নাবালিকা কন্যা এবং দুই তরুণকে। অসমের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুলাই অসমের জামিরার বাসিন্দা উত্তম গগৈকে তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। উত্তমের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী এবং কন্যা। তাঁরা উত্তমের মৃত্যুসংবাদ দেন পরিচিতদের। কিন্তু খটকা লেগেছিল মৃতের ভাইয়ের। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার উত্তমের স্ত্রী এবং কন্যাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। নাবালিকা কন্যাকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও উত্তমের কন্যার দুই বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ, উত্তমকে খুন করেছেন স্ত্রী ববি। আর বাবাকে খুনের জন্য মাকে সহায়তা করেছেন নবম শ্রেণির ছাত্রী! খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে মৃতের কন্যা।

উত্তমের ভাইয়ের দাবি, বৌদি তাঁকে বলেছিলেন দাদার মৃত্যু হয়েছে হৃদ্‌রোগে। কিন্তু দাদার দেহ দেখার পর তাঁর সন্দেহ হয়। ওই যুবকের কথায়, ‘‘মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাদার বাড়িতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি, দাদার এক কানের অনেকটা অংশ কাটা। পাশে একটা ছাতা পড়ে আছে। তখন বৌদি বলল, বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হলে কানে কী ভাবে কাটা দাগ এল? জবাব দিতে পারেনি বৌদি। ভাইঝিও কিছু বলেনি।’’ ওই যুবক জানান, পুলিশকে বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন। রবিবার পুলিশের তরফে বৌদির গ্রেফতারি এবং ভাইঝির আটক হওয়ার কথা জানতে পারেন তিনি। ওই যুবক আরও বলেন, ‘‘পুলিশ বলেছে, দাদাকে খুন করেছে বৌদি। ভাইঝি এবং আরও দু’জন খুনে সাহায্য করেছে।’’ খুনের কারণ কী হতে পারে? জবাব দিতে পারেননি তিনি।

Advertisement

ডিব্রুগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট (এসএসপি) রাকেশ রেড্ডি ওই মহিলাকে গ্রেফতারির খবর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘একটি খুনের মামলায় মৃতের স্ত্রীকে আমরা গ্রেফতার করেছি, মৃতের কন্যা এবং আরও দু’জন আমাদের হেফাজতে। মেয়েটি বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। দু’টি ছেলে মা-মেয়ে দু’জনেরই খুব কাছের। খুনের কারণ অনুসন্ধান করছি আমরা। আইনি পথে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement