National News

মোদীকে বিয়ে করবেন, এক মাস ধর্না যন্তর মন্তরে!

বছর চল্লিশের শান্তি শর্মা রাজস্থানের জয়পুরে থাকেন। তাঁর বছর কুড়ির এক মেয়েও আছে। শান্তি বিবাহবিচ্ছিন্না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ১১:০৩
Share:

ওম শান্তি শর্মা। ধর্নায় বসে যন্তর মন্তরে। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ে করলে নরেন্দ্র মোদীকেই করবেন! এমনই ধনুক ভাঙা পণ করে দিল্লির যন্তর মন্তরে মাসখানেক ধরে ধর্নায় বসে আছেন ওম শান্তি শর্মা।

Advertisement

বছর চল্লিশের শান্তি শর্মা রাজস্থানের জয়পুরে থাকেন। তাঁর বছর কুড়ির এক মেয়েও আছে। শান্তি বিবাহবিচ্ছিন্না। কিন্তু শান্তির মনে অদ্ভুত একটা জেদ চেপে বসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি বিয়ে করতে চান।

আরও পড়ুন: শিশুকে খুনের হুমকি দিয়ে স্বামীর সামনেই গণধর্ষণ মুজফ্‌ফরনগরে

Advertisement

কেন এমন সিদ্ধান্ত?

একটু হেসে শান্তি বলেন, “আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেশি দিন সেই সম্পর্ক টেকেনি। তার পর থেকে বহু বছর আমি একা।” তা হলে তাঁর একা থাকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে বিয়ে করার যুক্তি কোথায়? শান্তি সেই যুক্তিও দিয়েছেন অদ্ভুত ভাবে। জানান, তিনি এখন একা, প্রধানমন্ত্রীও একা। মোদীকে অনেক কাজ করতে হবে, আর সেই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতে চান শান্তি। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানান, বিয়ের বহু প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র মোদীকে বিয়ে করবেন বলে!

মোদীর সঙ্গে দেখা করা অত সহজ নয়, এ কথা ভাল ভাবে জানেন শান্তি। সেটা স্বীকারও করেছেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী যত ক্ষণ না এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন, তিনি এই ধর্না তুলবেন না।

শান্তি বলেন, “মানুষ যখন এই কথা শোনেন, আমাকে উপহাস করে। কিন্তু তাঁদের একটা বার্তাই দিতে চাই, শুধু ভালবাসার টানেই নয়, মোদীজির প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সে কারণেই আমার এই সিদ্ধান্ত।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, ছোটবেলায় তাঁকে শেখানো হয়েছে বড়দের সম্মান করো, তাঁদের কাজে সাহায্য করো। তাই মোদীজিকে বিয়ে করে তাঁর কাজে সাহায্য করতে চান।

আরও পড়ুন: রক্ত ঝরলে খুলি ওড়াব, হুঙ্কার রাতের হাসপাতালে

শান্তির দাবি, তাঁর সম্পত্তি বা টাকা-পয়সার কোনও অভাব নেই। ভবিষ্যত্ নিয়েও চিন্তিত নন। বলেন, “জয়পুরে প্রচুর জায়গা-জমি রয়েছে আমার। সে সব বিক্রি করে মোদীজির জন্য উপহার কেনার পরিকল্পনা করেছি। তবে মোদীজি যত ক্ষণ না আসবেন, যন্তর মন্তর থেকে আমি এক পা-ও নড়ব না।”

এক মাস তো প্রায় হয়ে গেল। কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন শান্তি? জানান, যন্তর মন্তরে সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি শৌচালয় ব্যবহার করছেন। আর খাওয়া-দাওয়া করছেন কাছেরই গুরুদ্বারে। গ্রিন ট্রাইবুনাল যে যন্তর মন্তরে ধর্না, প্রতিবাদ, বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, খবরটা কি তিনি জানেন? কোনও ইতস্তত না করেই জানান, গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের কথা তিনি শুনেছেন। আর সে কারণেই তো চিন্তায় রয়েছেন! যে কোনও দিন তাঁকেও এই জায়গায় থেকে তুলে দেওয়া হবে। বলেন, “সরকার যদি এখান থেকে সরিয়ে দেয়, জানি না কী করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন