অভিযুক্ত সুদেষ্ণা জেনা। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িওয়ালাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর ভাড়াটের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সুদেষ্ণা জেনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওড়িশার গঞ্জামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িওয়ালা হরিহর সাহুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুদেষ্ণার। তাঁর সম্পত্তি হাতাতেই খুন করেছেন ৫৭ বছরের ওই মহিলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হরিহরের বয়স ৭২ বছর। তিনি রাজস্ব দফতরের ইনস্পেক্টর ছিলেন। তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সুদেষ্ণা। তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। পুলিশ অফিসার সারাভান বিবেক এম জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে হরিহরের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল সুদেষ্ণার। গত বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন প্রৌঢ়া। সে সময়ে বৃদ্ধ ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছে, বৃদ্ধের কেরোসিন গায়ে ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন প্রৌঢ়া।
হরিহরকে প্রথমে ব্রহ্মপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কটকের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ আধিকারিক বিবেক জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করেই বৃদ্ধকে মেরেছেন সুদেষ্ণা। তাঁর গায়ে আগুন জ্বালানোর পরে বৃদ্ধের মোবাইল ছুড়ে বাড়ির পিছনে ফেলে দেন। যে প্লাস্টিকের বোতল থেকে কেরোসিন ঢেলেছিলেন, সেটি ওই আগুনেই ফেলে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন। তার পরে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে বৃদ্ধকে বাঁচানোর ভানও করেন অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে সুদেষ্ণা দাবি করেছিলেন, দু’জন ঘরে ঢুকে বৃদ্ধের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন। পরে জেরায় সব কিছু স্বীকার করেন তিনি।