সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত
ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় কাজ করতে গেলে পুরুষ জওয়ানদের থেকে কোনও অতিরিক্ত সুবিধে দেওয়া যাবে না মহিলাদের। স্পষ্ট করে দিলেন নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এটা জেনে, বুঝে এবং মেনে নিয়ে যদি মহিলারা ফ্রন্টলাইন কমব্যাট রোলে অংশ নিতে চান তবে তাঁর আপত্তি নেই বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল দিল্লিতে, তাঁর প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে, ভাষণ দেন জেনারেল রাওয়াত।
যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াও দেশের সংবেদশীল সীমান্ত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীকে কাজ করতে হয় বছরভর। সেনাপ্রধান বলেন, সেখানে রান্নাবান্না থেকে ঘুম, সব কিছুই করতে হয় ট্যাঙ্কের নীচে। পেট্রলিংয়ের সময় কোনও শৌচাগারেরও সুবিধা থাকে না।
আরও পড়ুন- পাঁচ ভিডিওর ধাক্কায় চাপে সেনাপ্রধান
সেনার ইঞ্জিনিয়ার বাহিনী এবং সিগনালের মতো কাজেই শুধুমাত্র মহিলাদের নেওয়া হয় এখন। বিমানবাহিনীতে মহিলাদের কমব্যাট রোলে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে কিছু দিন আগে। কয়েক জনের ট্রেনিং-ও চলছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী কোনও ঘাঁটিতে এখনও কোনও মহিলাকে পাঠানো হয়নি। দেশের পদাতিক বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বা মেকানাইজড বাহিনী, কোথাও-ই এখনও পর্যন্ত মহিলাদের নেওয়া হয় না। বায়ুসেনায় মহিলাদের নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, প্রত্যক্ষ যুদ্ধের কাজে সর্ব ক্ষেত্রেই মহিলাদের নেওয়া হবে কি না।
জেনারেল রাওয়াত বলেন, “যদি আমরা মহিলাদের প্রতিরোধ বাহিনীতে নিই, সেক্ষেত্রে তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের মতো করেই দায়িত্ব সামলাতে হবে... এর মানে হল, তাঁদের একই রকম কাজ করতে হবে।” মহিলাদের নেওয়ার জন্য উদাহরণ সহ অনেকগুলো ‘যদি’র অবতারণা করেন সেনাপ্রধান। বলেন, “যদি কোনও ট্যাঙ্কে তিন জন থাকেন, যদি তার মধ্যে এক বা দু’জন মহিলা আর অন্য জন পুরুষ হন, যদি তাঁরা সবাই ট্যাঙ্কের নীচে গিয়ে ঘুমোতে চান এবং যদি মহিলারা তাতে রাজি থাকেন... যদি মহিলারা এমন পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকেন, তবে মহিলারা নিজেরা সেটা বলুন। যখনই মহিলারা নিজেরা এটা বলবেন, আমরা এটা নিয়ে ভাবব।”
আরও পড়ুন- ‘নষ্ট করে দেওয়া লঞ্চ প্যাডগুলিতে জঙ্গিরা ফের তৎপর হচ্ছে, তাই প্রয়োজনে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’