প্রতীকী ছবি।
কর্মস্থলে যৌন হেনস্থার শিকার মহিলাদের হাত শক্ত করতে নয়া বিধান কেন্দ্রের।
যদি কোনও মহিলা কর্মস্থলে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন, তবে তদন্ত চলাকালীন ৯০ দিন পর্যন্ত তিনি সবেতন ছুটি নিতে পারবেন। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। মঙ্গলবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)।
ডিওপিটি-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, কর্মস্থলে যৌন হেনস্থার পর অভিযোগকারী মহিলাকে নানা অসুবিধায় পড়তে হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে ভয় দেখানো বা হুমকির মতো ভূরি ভূরি অভিযোগও মেলে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ সব অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াইতে এই নয়া বিধান কার্যকরী হবে বলে দাবি ডিওপিটি-র। তবে অভিযোগকারিণীর কর্মস্থলের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই এই বিশেষ ছুটি মিলবে। এ নিয়েও সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (লিভ) অ্যামেন্ডমেন্ট রুলস, ২০১৭ নামে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ডিওপিটি। ডিওপিটি জানিয়েছে, অভিযোগ করার পরেও মহিলারা তাঁর কর্মস্থলে সাধারণত যে ক’দিন ছুটি পান তিনি তা-ই পাবেন। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী ৯০ দিনের সবেতন ছুটি নিলেও তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুন
‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’! শ্রীজাতের বিরুদ্ধে এফআইআর শিলিগুড়িতে
কর্মস্থলে যৌন হেনস্থার অভিযোগের সমস্ত খতিয়ান প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকে জমা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। গত ডিসেম্বরেই কর্মস্থলে যৌন হেনস্থার অভিযোগ মেটানোর সময়সীমা ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ৩০ দিনে করা হয়েছে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, অভিযোগের পর কর্মস্থলে কোনও ভাবে হয়রানির শিকার হলেও তা নিয়ে অভিযোগ করতে পারবেন অভিযোগকারী মহিলা। সে ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে সেই অভিযোগের সমাধান করতে হবে।